শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

পিআইবিতে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও অভিযোজন বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা


অন্য মিডিয়া (দৈনিক বাংলাদেশের আলো) প্রকাশের সময় :১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১:৩২ : পূর্বাহ্ণ 578 Views

তথ্য মন্ত্রণালয়াধীন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং নাহাব (National Alliance of Humanitarian Actors Bangladesh) এর যৌথ উদ্যোগে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও অভিযোজন বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা মঙ্গলবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) তে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রান্সিস অতুল সরকার।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিআইবির প্রশাসন এবং অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মো. ইলিয়াস ভূইয়া,নাহাব’র ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট, টেকনিক্যাল এডভাইজার আবদুল লতিফ খান।আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশমন) ড. শিবুপদ মন্ডল,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কমিউনিকেশন মিডিয়া স্পেশালিস্ট আশরাফুল ইসলাম,বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর রুহুল আমিন রুশদ।

সভা প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি’র মহা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ।কর্মশালায় সমন্বয়কারী ছিলেন পিআইবি’র সিনিয়র প্রশিক্ষক রাফিজা রহমান।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস)’র ৭ জন সদস্যসহ মোট ৩৫ জন সদস্য অংশ নেন।বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস)’র ৭ জন সদস্যরা হলেন যথাক্রমে দৈনিক প্রথম আলো’র তানজিনা আকতারী, বাংলাদেশ জার্নাল’র মাহমুদা আক্তার,ডেইলি অবজারভার’র নওশিন মৌলি ওয়ারেসি,দৈনিক বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস)’ সাধারণ সম্পাদক,দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ সহ সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী,দৈনিক জবাবদিহি’র আরিফা সুলতানা,রাইজিং বিডি.কম’র তাসলিমা পারভীন,দৈনিক মানব কণ্ঠের রারজানা সুলতানা।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন মডেল।বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও দেশের মানুষ সবার প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।এখানে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে।বিশেষ করে দুর্যোগের আগে মানুষের মধ্যে সতর্কবার্তা ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।১৯৭১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মোট ৪৪০টি দুর্যোগ হয়। এতে দেশের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়।মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫৪০ কোটি ৩৮ লাখ ২ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ।প্রাণহানি হয় দুই লাখ ৪৩ হাজার ৮৪ জনের।দুর্যোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের বিষয় হলো ভূমিকম্প।৭ মাত্রার বেশি তীব্র ভূমিকম্প হলে বড় শহরগুলোতে ব্যাপক মানুষের মৃত্যু ও ভবনধস হবে।বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে না ভাবলে বিপর্যয়ে পড়তে হবে।যা থেকে উদ্ধার পাওয়া কষ্টকর হবে।

দুর্যোগের সময় গণমাধ্যম যথেষ্ট কাজ করে।তাদের প্রচারের ফলে বিদেশেও জনমত তৈরি হয়।প্রচুর সাহায্য আসে।কিন্তু দুর্যোগ-পূর্ব সময়েও গণমাধ্যম জনমত তৈরি করতে পারে। মানুষকে সচেতন করতে পারে।প্রচলিত গণমাধ্যম ছাড়াও বিলবোর্ড,লিফলেট,পোস্টার এগুলোও গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পরে।স্থানীয়ভাবে বিএনএনআরসি ভালো করে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম দুটোর মধ্যে সমন্বয় আনতে হবে।দুভাবে দুর্যোগ আসছে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ।মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের জলাশয় ভরাট হচ্ছে।ফলে শহর ও গ্রামের মানুষ দীর্ঘ সময় পানিতে আবদ্ধ থাকছে।যেখানে সেখানে ভবন তৈরি হচ্ছে।ভবন তৈরিতে জাতীয় ভবন বিধিমালা মানা হচ্ছে না। ভবনধসে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অসতর্কতাসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিবছর অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে।এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম আগে থেকেই মানুষকে সচেতন করতে পারে।এসব নিয়ে তাদের ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।সরকার ও নীতিনির্ধারণী মহলকে জানাতে পারে। তাদের কোথায় ঘাটতি রয়েছে,কী করণীয় আছে।সারা বছর গণমাধ্যম এসব নিয়ে কাজ করতে পারে।গুজব-আতঙ্কের ক্ষেত্রেও মিডিয়া ভূমিকা রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা আরো বলেন,এ ধরনের অনুষ্ঠান নিয়মিত হওয়া দরকার।তাহলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।উপকূলীয় অঞ্চলে এখন ছয়টি কমিউনিটি রেডিও কাজ করছে।২০১৩ সালে মহাসেন হয়েছিল।মহাসেনে কমিউনিটি রেডিওর কার্যকারিতা লক্ষ করেছি।দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন ছিল।আধুনিক প্রযুক্তি কাজ করছিল না।একনাগাড়ে ৫১৪ ঘণ্টা কমিউনিটি রেডিও কাজ করেছে।তাই নীতিনির্ধারকদের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পুরোনো প্রযুক্তিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।ক্যাটরিনায় আমেরিকাও একই ভুল করেছিল।ক্যাটরিনার ভয়াবহতায় আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারেনি।তখন তারা পুরোনো প্রযুক্তি ফিরিয়ে আনে।এ বিষয়ে বেশি করে আলোচনা হওয়া দরকার। তাহলে অনেক বিষয় বেরিয়ে আসবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সিপিপি (সাইক্লোন প্রিপিয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।এখান থেকে গণমাধ্যম অনেক তথ্য পেয়ে থাকে। সিপিপি আরও বেশি কার্যকর রাখার ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!