এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আমার কথাবার্তা ব্যবসায়ীর মতো,মন্ত্রীর ভাব-টাব আসে না: বাণিজ্যমন্ত্রী


সিএইচটি টাইমস রিপোর্ট  প্রকাশের সময় :৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ৮:২২ : পূর্বাহ্ণ 864 Views

ব্যবসা বাণিজ্যের অগ্রগতি না ভেবে শুধু রাজস্ব বাড়ানোর চিন্তা করলে আগামীতে বিষয়টা সুখকর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এজন্য তিনি যেমন এনবিআরের রাজস্ব সংগ্রহের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পক্ষে মত দিয়েছেন, পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করতে দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যাংকগুলোর সুদের হার এক অংকে নামাতে বলেছেন।মন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন,১২ থেকে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়।এ সময় তার কথাবার্তা ব্যবসায়ীদের পক্ষে যাচ্ছে এ কথা স্বীকার করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমিও একজন ব্যবসায়ী। তার জন্য আমার কথাবার্তা ব্যবসায়ীদের মতো। মন্ত্রীর মতো ভাব-টাব এখনও আসে না।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী সিরামিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম,আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো.সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন।টিপু মুনশি বলেন, রাজস্ব কালেকশনে আমাদের সঙ্গেও এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) বসা দরকার।ট্যারিফ কমিশন বলে কিছু আছে সেটা ভাবাই হয় না।ভবিষ্যতে রাজস্ব আদায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও এনবিআরকে কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান।তিনি বলেন, ‘এনবিআর যে পদ্ধতিতে রাজস্ব সংগ্রহ করে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এ পদ্ধতি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে আয়কর দেওয়ার যোগ্য। কিন্তু কয়জন দেয়? এই পরিধিটা যদি বড় না করা হয়,তাহলে যারা দেয় তাদের ওপরই চাপ সৃষ্টি করা হয়,তাহলে যারা দেয় তাদের তো নাভিশ্বাস উঠে যাবে।’

তারপরও ব্যবসায়ীদের স্যালুট জানাই এসব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তারা দেশের বাণিজ্যকে বাড়িয়ে নিচ্ছেন।আমি আগামীতে এনবিআরের সঙ্গে বসবো। এ ব্যাপারে কথা বলবো। ট্যারিফ কমিশন হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান।এনবিআরকে ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বসে ট্যাক্স আরোপের বিষয়ে বলবো।টিপু মুনশি বলেন, ১২ থেকে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন না। এত সুদ হলে একটার পর একটা ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। ঋণখেলাপির সংখ্যা বাড়বে।এটা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক ঋণে সুদহার এক অংকে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন। এ জন্য ব্যাংকারদের নানা সুবিধা দেওয়া হলো।ব্যাংকাররা সুবিধাটা পুরোপুরি নিলো।কিন্তু এক বছর পার হয়ে গেলেও সুদহার এক অংকে আনলো না।’তিনি আরও বলেন, ‘সুদের হার কমার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীও অনেকবার তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও প্রাইভেট ব্যাংক সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে আনেনি। তারা সুবিধা নিলো,প্রধানমন্ত্রী বারবার বললেন,তারপরও কাজের কাজের কিছুই হলো না।

তিনি উল্লেখ করেন,আমাদের দেশই পৃথিবীর ব্যতিক্রমী দেশ, যেখানে স্প্রেড অনেক হাই।অন্যান্য দেশে যেখানে স্প্রেড আড়াই থেকে তিন শতাংশ,সেখানে আমাদের দেশে এটা ৬ শতাংশের ওপরে।এটা হওয়া উচিত নয়।তিনি বলেন, ‘এই যদি অবস্থা হয় তাহলে আমাদের অর্থনীতির কী হবে,ব্যবসায়ীরা যাবে কোথায়? এ ধরনের কথা বললে মনে হবে যে মন্ত্রী বলছে না,ব্যবসায়ীদের পক্ষে কোনও ব্যবসায়ী বলছে।কিন্তু আসল কথা হচ্ছে,আমিও একজন ব্যবসায়ী।তার জন্য আমার কথাবার্তা ব্যবসায়ীদের মতো। মন্ত্রীর মতো ভাব-টাব এখনও আসে না।’

আমি অর্থমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকি,আর অর্থমন্ত্রী আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন।সুদহার এক অংকে নামিয়ে না আনলে কোনও ব্যবসা করা যাবে না।অন্তত জেনুইন ব্যবসা করা যাবে না। অন্য কিছু করা গেলে যাবে।টিপু মুনশি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রী ব্যাংকারদের নিয়ে বসেছিলেন।সম্ভবত জানুয়ারি থেকে সুদহার এক অংকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেখি কী হয়,আমাদের ভরসা করা ছাড়া তো আর কিছু করার নেই।’এশিয়ার অন্যতম সিরামিক মেলায় স্বাগতিক বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০টি দেশের ১৫০টি ব্র্যান্ড অংশ নিচ্ছে।তিন দিনব্যাপী এ মেলা দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এছাড়া অংশ নিচ্ছেন ৩০০ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও ৫০০ জন বায়ারস হোস্ট।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!