এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

রাঙ্গামাটিতে ভূষণছড়া গনহত্যা দিবস পালন


প্রকাশের সময় :১ জুন, ২০১৭ ১:০৬ : পূর্বাহ্ণ 691 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-১৯৮৪ সালের ৩১ মে দিবাগত রাতে ৩৮৪ জন বাংলা ভাষাভাষী নিরপরাধ,নির্দোষ,নিরস্ত্র নারী পুরুষ ও শিশুদের রাতের অন্ধকারে ইতিহাসের এক জঘণ্যতম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমার নিদের্শে মেজর রাজেশ ওরফে মনিস্বপন দেওয়ান।তারই প্রতিবাদে গতকাল বুধবার (৩১ মে) দুপুরে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা কার্যালয়ে এক শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর আলম মুন্না।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন রাঙ্গামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক জনাব জাহাঙ্গীর কামাল,জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোঃআবু বক্কর ছিদ্দিক,পৌর কমিটির সভাপতি কাজী মোঃজালোয়া,সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলম,পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা সিঃ সহসভাপতি মোঃনজরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃআসাদুজ্জামান খাঁন,সহ-সভাপতি মোঃ বাদশা,যুগ্ম সম্পাদক এহসান উল্লাহ মুন্না,কলেজ সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম,পৌর কমিটির আহবায়ক মোঃআবছার সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।সভায় বক্তারা বলেন-হত্যাকান্ডের ৩৩ বছর অতিবাহিত হলেও খুনিদের বিচার তো দুরের কথা বরং তাদের বিভিন্ন সময়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।বিএনপি খুনি মনিস্বপনকে (মেজর রাজেশ) কে মন্ত্রি বানিয়েছে আর আওয়ামীলীগ সন্তু লারমাকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের রক্তের সাথে বেইমানী করেছে।আমরা তার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলতে চাই-বর্তমান সরকার মানবতা ও স্বাধীনতা বিরোধীদের যেমনি বিচারের আওতায় এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে,আমরা আশা করি তেমনিভাবে ৩০ হাজার বাঙ্গালীর খুনি সন্তু লারমাসহ অন্যান্য অপরাধীদেরকেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার শুরু করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নজির স্থাপন করবে। তিনি আরো বলেন–পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সময়ের দাবী,এসব অবৈধ অস্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরীহ বাঙ্গালী ও উপজাতীয়দের বিরোদ্ধে ব্যবহার করে অপহরন,খুন ও চাঁদাবাজি করছে জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী বাহিনী।বক্তারা আরোও বলেন–পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সকল সরকারী আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানে উপজাতীয় কর্মকর্তা রয়েছে সেখানে বাঙ্গালী কর্মচারীদের হয়রানি করে বদলীর হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে।এমতাবস্থায় সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোড় দাবী জানাচ্ছি।নেতৃবৃন্দ আরো বলেন–পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিদিন জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে প্রসাশনের নাকের ডগায় কিন্তু কোন প্রতিকার হচ্ছে না।এমনকি আম বাগান,আনারস বাগান,ফলজ বাগান,সেগুন বাগান এর চাঁদার টাকা না দিলে লক্ষ লক্ষ আনারসের বাগান,সেগুন বাগান ও ফলের গাছ কেটে ফেলে উল্টো বাঙ্গালীদের মামলা হামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে।এ অবস্থা বেশীদিন চলতে দিলে বাঙ্গালীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতিরা ঘরে বসে থাকবে না,এর বিরোদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!