শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

নতুন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড,শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে আবারও ছিটকে গেলো কিউইদের ভাগ্য


বান্দরবান অফিস প্রকাশের সময় :১৫ জুলাই, ২০১৯ ১২:৫০ : পূর্বাহ্ণ 775 Views

শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড কে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড।লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের ২৪১ রান তাড়া করে ইংলিশদের ইনিংসও শেষ হয় সমান সংখ্যক রানে।সুপার ওভারে ইংলিশদের হয়ে ব্যাট করতে নামেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার।কিউইদের হয়ে বল হাতে ট্রেন্ট বোল্ট।প্রথম বলে আসে ৩ রান। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন বাটলার।তৃতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে চার হাঁকিয়ে দেন স্টোকস।চতুর্থ বলে আসে আরেকটি রান।বাটলার পঞ্চম বলে নেন আরও দুটি রান।বোল্টের শেষ বলে সীমানা পার হলে ১৫ রানের সংগ্রহ পায় ইংলিশরা।১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামেন মার্টিন গাপটিল ও জিমি নিশাম।বল হাতে জফরা আর্চার।প্রথম বলই ওয়াইড।পরের বলে দুই রান।দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন নিশাম।পরের বলে দুই রান।পরের বলে আবার দুই রান।সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ৩ রান।পরের বলে ১ রান।শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিলো ২ রান।কিন্তু গাপটিল মাত্র ১ রানই নিতে পারেন। ইংলিশদের সমান সংখ্যক ১৫ রান করলেও সুপার ওভারের নিয়ম অনুসারে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোয় জয়ী হয় ইংল্যান্ড।এর আগে ২৪২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় স্বাগতিকরা। দলীয় ২৮ রানের মাথায় ম্যাট হেনরির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইনফর্ম জেসন রয়।ইংলিশ ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ জো রুটও সচল করতে পারেননি রানের চাকা।ধৈর্য্য হারিয়ে গ্র্যান্ডহোমকে মারতে গিয়ে তিনিও কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন।জনি বেয়ারস্টো লড়াই চালিয়ে গেলেও তার ইনিংস থামে মাত্র ৩৫ রানে।লোকি ফারগুসনের বলে প্লেড অন হয়ে যান।এর কিছুক্ষণ পর সেই ফার্গুসনই দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেন ইংলিশ অধিনায়ক ওয়েন মরগ্যানকে।৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন মিলিয়ে যেতে বসেছে তখনই পাল্টা লড়াই শুরু করেন বেন স্টোকস আর জস বাটলার।স্টোকস সাবধানি হয়ে খেললেও বাটলার ছিলেন স্বভাবসুলভ মারমুখি মেজাজে। তাদের ১১০ রানের জুটি দারুনভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে ইংল্যান্ডকে।কিন্তু ফার্গুসনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাটলার ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে পেন্ডুলামের মতো আবার দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য।এরপর ক্রিস ওকসও ২ রানে ফিরে গেলে ক্রমেই কঠিন হয়ে ওঠে ইংল্যান্ডের সমীকরণ।তবে ক্রিজে তখন আছেন বেন স্টোকস।প্লাঙ্কেটকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন শেষ ওভার পর্যন্ত।শেষ দু ওভারে প্রয়োজন ২৪ রান।কিন্তু নিশামের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান প্লাঙ্কেট।হাতে তখন ৯ বল।প্রয়োজন ২৩ রান।তখনই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন স্টোকস।৪৯তম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান জফরা আর্চার।বিশ্বকাপ জিততে শেষ ওভারে নিতে হবে ১৫ রান।কিন্তু ওভারের প্রথম দুটি বলে কোন রান আসে না।কিন্তু তৃতীয় বলেই আবার ছক্কা হাঁকিয়ে দেন স্টোকস।এরপরের বলে দুই রান নেয়ার পর ওভার থ্রোর সুবাদে ৬ রান পায় ইংলিশরা। সমীকরণ দাড়ায় ২ বলে ৩ রান।পরের বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট আদিল রশিদ। শেষ বলে জিততে লাগবে ২ রান।কিন্তু সেই ২ রান নিতে গিয়ে মার্ক উডও রান আউট।খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।এর আগে টস জিতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪১ রানের সংগ্রহ গড়ে নিউজিল্যান্ড। হেনরি নিকোলস ৫৫ ও টম লাথাম ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লাংকেট।দলীয় ৮ আর নিজের শূণ্য রানেই আর্চারের বলে লেগ বিফোরের ফাদেঁ পড়েন হেনরি নিকোলস।কিন্তু রিভিউতে বেঁচে যান নিকোলস।বড় ইনিংসের আভাস দিয়েও ব্যাডপ্যাচ থেকে বের হতে পারেননি মার্টিন গাপটিল।দলীয় ২৯ আর ব্যাক্তিগত ১৯ রান করে ক্রিস ওকসের বলে এলবিডাব্লিউ হন এই ডেঞ্জারম্যান।এরপর হেনরি নিকোলসকে নিয়ে হাল ধরেন কেন উইলিয়ামসন। ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে রান ৯১।কিন্তু আর কোন উইকেট যেতে দেননি এই দুইজন।এরপর দৃশ্যপটে আবির্ভাব লিয়াম প্লাঙ্কেটের।৭৪ রানের পার্টনারশিপ ভেঙ্গে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান এই পেসার।৩০ রান করে ফেরেন কেন উইলিয়ামসন।অন্যপ্রান্তে ক্যারিয়ারের ৯ম ফিফটি আর চলতি আসরে প্রথম ফিফটি পাওয়া নিকোলসও ফেরেন ৫৫ রান করে প্লাঙ্কেটের বলে বোল্ড হয়ে।এরপরের কাজটা করেন মার্ক উড সাথে ছিলো আম্পায়ার মেরিয়াস ইরাসমাসের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।মিডল অর্ডারের আস্থা রস টেইলর ফেরেন ১৫ রানে। কিউইরা তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪১।নিশাম-ল্যাথামে আবারও মাথা তুলে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলো কিউইরা।অযাচিত শট খেলতে যেয়ে ১৯ রানে অপমৃত্যু হয় জিমি নিশামের।টিকতে পারেননি কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।সেই বিপর্যয় সামলে টম ল্যাথামের ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় নিউজিল্যান্ড।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!