শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

সম্মানের সঙ্গে রাখাইনে ফেরত যেতে চান রোহিঙ্গারা


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ জুন, ২০১৯ ৫:২০ : অপরাহ্ণ 679 Views

২০০০ সালের ডিসেম্বরের ৪ তারিখ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (General Assembly) অধিবেশনের ৫৫/৭৬ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী জুন মাসের ২০ তারিখ ‘বিশ্ব শরণার্থী দিবস’ (World Refugee Day) পালিত হয়। এখানে উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত সংঘটিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর নানান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশে শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকে। কিন্তু তখন পর্যন্ত শরণার্থী বলতে কী বোঝায়, শরণার্থী কারা, তাদের অধিকার কী কী, এবং তাদের প্রতি আশ্রয় প্রদানকারী রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী কী, এবং নিজ দেশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্য দেশে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব-কর্তব্য কী হবে, তা নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত আন্তর্জাতিক কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা বা সবর্জন গ্রহণযোগ্য কোনও সনদ ছিল না। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রে (The Universal Declaration of Human Right) শরণার্থীদের ক্ষেত্রেও মানুষ হিসাবে বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার প্রাপ্য বলে স্বীকার করা হলেও, সুনির্দিষ্টভাবে শরণার্থীদের জন্য কোনও অধিকার সনদ তখনও ছিল না। এ রকম একটি প্রেক্ষাপটে ১৯৫০ সালের ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জাতিসংঘের একটি স্বতন্ত্র অঙ্গ হিসাবে Office of the United Nations High Commissioner for Refugees (UNHCR) প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা বিশ্বব্যাপী the UN Refugee Agency হিসাবে পরিচিত।
বাংলাদেশে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন সীমাবদ্ধ থাকে সংবাদপত্রের এক কলাম নিউজ হিসাবে, প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের একটা দেড় মিনিটের নিউজ আইটেম হিসাবে। ঢাকার মোহাম্মদপুর ও জেনেভা ক্যাম্পে এখনও পর্যন্ত হাজার হাজার ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ শরণার্থীদের বাংলাদেশ সরকারকে ডিল করতে হচ্ছে। ২০০৩ সালের এক হিসাবে অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ‘আটকে পড়া পাকিস্তানি’ শরণার্থী ছিল, যা বর্তমানে প্রায় প্রায় ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৭ সালে নতুন করে আসা প্রায় ৭ লক্ষসহ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস করছে। রাখাইনে সহিংস ঘটনায় প্রাণবাঁচাতে পালিয়ে আসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৭জন রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে।
বর্তমানে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ শরনার্থী শিবির উখিয়া-টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মাঝে এ দিবস নিয়ে কোন ধারণা নেই। এ দিবসের করণীয় কি তা জানে না জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গারা। এরপরও তাদের দাবি নাগরিক হিসেবে মর্যাদা নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা। এ প্রত্যাশার বাস্তবায়ন বাংলাদেশ সরকারের কাছে সহায়তা কামনা করছেন রোহিঙ্গারা।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস সম্পর্কে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের অনেকে বলেছেন, নিপীড়নের শিকার হয়ে বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে শরণার্থী হয়েছি। জীবন ধারণের উপকরণসহ সবদিক দিয়ে সুখে থাকলেও মনটা পড়ে আছে রাখাইনে। মাথা উঁচু করে থাকার সুযোগ নিয়ে ফিরে যেতে চাই। আশ্রয়দাতা বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহযোগিতা করে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখলে আমাদের ফেরত যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন কমিটির সভাপতি ও উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, নানা কারণে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরার বিষয়টি ঝুলে আছে। বাংলাদেশ- মিয়ানমারের জয়েন ওয়ার্কিং কমিটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে একাধিক বৈঠকের পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোর মুখ দেখেনি। রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো দরকার। এভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা না গেলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কোন দিনও হবে না।
এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেশের স্বার্থে সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠকে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কথা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ব নেতারা শেখ হাসিনার সাথে একসাথে কাজ করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সাথে মিয়ানমারও রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!