জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত


বান্দরবান অফিস প্রকাশের সময় :২০ জুন, ২০১৯ ৫:৪৭ : অপরাহ্ণ 653 Views

বান্দরবানে স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগ্যে জাতীয় ভিটামিন‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (১ম রাউন্ড)-২০১৯ উপলেেক্ষ সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।নজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিসের সভা কক্ষে এর আয়োজন করা হয়।বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডাঃঅংসুই প্রু মারমা এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের এম ও সি এস ডাঃ মোঃ মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী,বান্দরবান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের এমওডিসি ডাঃ ক্য থোয়াই প্রু প্রিন্স,সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স¦াস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সা সুই চিং মারমা,প্রেস ক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্ছু,সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম সুমন,সাংবাদিক মিনারুল হক,সাংবাদিক মুছা ফারুকী,সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। সভার সভাপতি সিভিল সার্জন জানান,ভিটামিন‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইন (১ম রাউন্ড ) এ ৬ মাসের উপর ৫ বছরের নিছে সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম বা পদ্ধতি।১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে বছরে দু’বার ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন‘এ’ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।কোন শিশুর ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন‘এ’প্লাস ক্যাপসুল খেয়ে থাকলে তাকে আর খাওয়াতে হবে না।শিশুর বয়স ৬ মাস পুর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরের তৈরি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।আপনারা শিশুকে ভিটামিন‘এ’ খাওয়ান,শিশুমৃত্যুর ঝুকি কমান।বক্তরা আরো বলেন টিকা মুখে খাওয়ানোর চেয়ে ইনডেকশনের মাধ্যমে শরীরে পুশ করা হলে পরবর্তিতে সেটা শিশু মল ত্যাগের মাধ্যমে অন্য আরেকটি শিশুকে পলিও রোগের জীবানো আক্রমণ করার ঝুকি থাকে না।কিন্তু ওরাল বা মুখ দিয়ে টিকা খাওয়ানো হলে তা পায়খানা/মলের মধ্যে দিয়ে অন্যকে আক্রান্ত করার ঝুকি থেকে যায়। তারা আরো বলেন,বান্দরবানে স্বাস্থ্য সেবা পূর্বের তুলনাই বর্তমানে অনেক উন্নত হয়েছে।এখন আর কাউকে বিনা চিকিৎসায় অকালে মৃত্যু বরণ করতে হয় না,দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে,নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিক,সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নিদির্ষ্ট এনজিও ক্লিনিকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোন শিশু যেন খালি পেটে যেন ক্যাপসুল খাওয়ানো না হয়।খাবার খাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা পরে ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশুর জন্য উপকার হবে।প্রেস ব্রিফিং এ অন্যানদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন,বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিসের প্রণব, সহ মাঠকর্মী,স্বেচ্ছাসেবী অফিসের অন্যান্য কর্মচারীউপস্থিত ছিলেন।বক্তারা আরো বলেন,আসুন সচেতন হয় হই, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।পরে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি সভার সমাপ্ত ঘোষনা করেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!