এই মাত্র পাওয়া :

বগুড়া- ৬ আসনে ভোটারদের অনাগ্রহতা নিয়ে শঙ্কায় বিএনপি!


ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশের সময় :১১ জুন, ২০১৯ ৫:২৬ : অপরাহ্ণ 689 Views

আগামী ২৪ জুন বগুড়া- ৬ আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ আসনের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে নতুন দুশ্চিন্তায় পড়েছে বিএনপি। তৃণমূল নেতারা বলছেন, বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে আনা বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

নেতারা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করলেও তিনি শপথ নেননি। এখন উপ-নির্বাচনে ভোটারদের কোনো আগ্রহ নেই। ভোটের আমেজও নেই। ধানের শীষে ভোট চাইতে গিয়ে এসব নিয়ে নানা প্রশ্ন করছেন ভোটাররা।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মীরা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, বিএনপি সমর্থক ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গিয়ে নানা প্রশ্নে জর্জরিত হচ্ছি। সমর্থকরা বলছেন, শপথ না নিয়ে কেনো আবার ভোট চাইতে যাচ্ছি আমরা? ধানের শীষের প্রার্থী জিএম সিরাজ বহিরাগত প্রার্থী বলেও মানতে পারছেন না তারা। এসব কারণে ভোটারদের কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়াটা হবে বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইলেও ভোটে সাড়া পাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক ফল আশা করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, উপ-নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিত করাটাই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটার উপস্থিতি যত বাড়ানো সম্ভব হবে, তত বড় ব্যবধানে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত হবে। কিন্তু সেটা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মোটেই সহজ মনে হচ্ছে না। প্রার্থী নিয়েও ভোটারদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। জিএম সিরাজকে বহিরাগত বলছে ভোটাররা।

জানা গেছে, কিছুটা ক্ষোভও তৈরি হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বঞ্চনার কথা উল্লেখ করে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আখতারুজ্জামান বলেন, ভোট এলে তৃণমূলের নেতাদের কদর বাড়ে, প্রার্থীরা স্মরণ করেন। ভোট গেলে সব ভুলে যান। যেখানে পরিচিত প্রার্থীই আমাদের বিগত সময় মনে রাখেনি সেখানে এই আসনের প্রার্থী জি এম সিরাজকে বিশ্বাস করতে তৃণমূলের মধ্যে দোলাচল দেখা দিয়েছে। এসব সংশয় দূর করা না গেলে এই আসন হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া- ৬ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীরা সংসদে যোগ দিলেও তিনি শপথ নেয়া থেকে বিরত থাকেন। পরে নির্বাচন কমিশন ওই আসনে নতুন করে উপ-নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর