পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল স্থাপনা থেকে রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট


প্রকাশের সময় :২২ মে, ২০১৭ ৬:১৩ : অপরাহ্ণ 895 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ- বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী,মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের নাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল স্থাপনা থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আদেশ দেন।একই সঙ্গে ত্রিদিব রায়ের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সচিব,এলজিআরডি সচিব,শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।পৃথক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজি রেজা-উল হক ও মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন শরীফ আহমেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
আইনজীবীরা জানান,খাগড়াছড়ি,রাঙ্গামটিসহ সারাদেশের স্থাপনা থেকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে পরিচিত চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের নাম ৯০ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।এর আগে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন রাঙ্গামাটির বাসিন্দা বদিউজ্জামান সওদাগর ও খাগড়াছড়ির হেলাল উদ্দিন।রিট আবেদনে মুক্তিযোদ্ধা সচিব,এলজিআরডি সচিব,শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ৯০ দিনের মধ্যে সকল স্থাপনা থেকে ত্রিদিব রায়ের নাম অপসারণের নির্দেশ দেন।রিট আবেদনে বর্তমান চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের বাবা ওই অঞ্চলের ৫০তম চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়কে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের সহযোগী উল্লেখ করে বলা হয়,তার নামে রোড,মার্কেট,বিল্ডিং,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনা থেকে তার নাম অপসারণ করতে হবে।রাজা ত্রিদিব রায়ের নাম ১৯৭২ সালের দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৭৯ বছর বয়সে ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া আগে তিনি পাকিস্তানেই ছিলেন।উল্লেখ্য,চাকমাদের ৫০তম রাজা ত্রিদিব রায়-এর নাম ১৯৭২ সালের দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।তিনি সেই অভিযোগ মোকাবেলা করার জন্য কখনো বাংলাদেশে ফিরে আসেননি।১৯৫৩ সালের ২ মে থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি রাজা ছিলেন।পাকিস্তানে তিনি একজন লেখক,কূটনৈতিক,বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।১৯৮১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।পাকিস্তান সরকার তাকে আজীবন মন্ত্রীও হিসেবে ঘোষণা করে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর