এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

একদিনের ব্যবধানে পাহাড়ে ঝরলো আরো এক প্রাণ


সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ মে, ২০১৯ ১১:৩৬ : অপরাহ্ণ 969 Views

মাত্র একদিনের ব্যবধানে বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আরো একজন জনসংহতি সমিতির সমর্থক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যা (৫২)।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুহালং ইউনিয়নের বিকুক ছড়ার ৩নং রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ছেলে জনসংহতি সমিতির স্থানীয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনার পর ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি টহল দল অভিযানে নেমেছে। গত মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে একদল সন্ত্রাসী রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী এলাকায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ করে অপরকর্মী পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যাকে।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কাছাকাছি এলাকা কিবুক ছড়ায় আবারো রক্ত ঝরলো।

কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানু প্রু মারমা জানান, অন্ত্রধারী ৫ সন্ত্রাসী ৩নং রাবার বাগান এলাকার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির স্থানীয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে (২৮) খোঁজ করে। তাকে ঘরে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার বাবা জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত জয়মনি এলাকায় লাকড়ি ও কাঠের ব্যবসা করতো। এ ঘটনার পর কিবুক ছড়া ও রাজবিলা এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটচ্ছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি তাদের সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনা জানা না গেলেও জনসংহতি সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের দলছুট বিদ্রাহী গ্রুপ আরাকান লিবারেশন আর্মির সদস্যরা এ হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে। গ্রুপটি স্থানীয়ভাবে মগ বাহিনী নামেও পরিচিত। তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওকে) শহিদুল ইসলাম পরিবর্তন ডটকমকে জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গেছে। লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে জনসংহতি সমিতির সাথে দলছুট আরাকান লিবারেশন আর্মি প্রকাশ মগ বাহিনীর মধ্যেকার চলামান দ্বন্দ্বের জের ধরে একে অপরের প্রতি প্রতিশোধ নিতেই একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!