এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: পুলিশের অভিযানে ইজিবাইক চালক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১ চাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের সাথে পিসিসিপি নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১০৪ বম নাগরিক কারামুক্ত নানা অনিয়মের অভিযোগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করলো দুর্নীতি দমন কমিশন শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষ্যে মতবিনিময় ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠিত বান্দরবানে শুরু হলো সেনা রিজিয়ন কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ

ডিজিটাল বাংলাদেশ এর অগ্রগতি কতদূর?


সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ এপ্রিল, ২০১৯ ৪:৪৬ : অপরাহ্ণ 787 Views

এক দশক আগেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকে অনেকটাই বঞ্চিত ছিল বাংলাদেশের অধিকাংশ গ্রাম। সেসময়ের এমন বাস্তবতার ওপর দাঁড়িয়ে এদেশের মানুষকে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। দেশের মানুষ যেখানে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত সেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন ছিলো অনেকের কাছে বিলাসবহুল কল্পনা, অনেকেই উপহাস করেছিলো সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নিয়ে।
এরপরের গল্পটা সবার জানা, ২০০৮ সালের নির্বাচনে দিন বদলের সনদ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। শুরু হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা। গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখন স্কুল-কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমে পড়াশোনা করে। তাদের হাতে হাতে এখন দেখা মেলে স্মার্ট ফোনের। বিদ্যুতের কল্যাণে গ্রামে গ্রামে চলছে লাইট, ফ্যান, টেলিভিশন ও কম্পিউটার। হাত বাড়ালেই মিলছে নগদ, বিকাশ রকেটের মতো মোবাইল ব্যাঙ্কিং সেবা, আছে মোবাইল ফোন রিচার্জের সুবিধা।
দেশে গড়ে তোলা হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি ডিজিটাল ইউনিয়ন সেন্টার। এসব ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতি মাসে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রায় ২০০ রকম সেবা গ্রহণ করে। যেকোনো ধরণের আবেদন, জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যবসায়িক লাইসেন্স সবই পাওয়া যাচ্ছে ডিজিটাল ইউনিয়ন সেন্টারের মাধ্যমে।
দেশে গত ১০ বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে একশ গুণেরও বেশি। মোবাইল ফোনের গ্রাহকও বেড়েছে চার গুণ। ২০০৮ সালে দেশ থেকে ২৬ মিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার রপ্তানি হয়। ২০১৮ সালে তা এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
গত ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। ওই সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এটা শুধু শহরভিত্তিক নয়, প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষও যাতে সমান সুযোগ, সমান সেবা এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা অর্জন করতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে। এই স্বপ্ন এখন অনেকটা পূরণ হওয়ার পথে। রূপকল্প-২১ সামনে রেখে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে বিনির্মাণের স্বপ্ন শতভাগ পূরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২০২১ সালের মধ্যে আইটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ই-গভর্নেন্স এবং ই-বাণিজ্যকে গুরুত্ব দিয়ে এই দুই খাতে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে সরকার। আইসিটি খাতকে প্রথম সারির রপ্তানিমুখী শিল্প খাত হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি আইটি আউটসোর্সিং হাবে পরিণত করা। এজন্য সাতটি বিভাগে আইসিটি পার্ক স্থাপন করার কাজ শেষের পথে। পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারটি স্তম্ভ ই-গভর্নেন্স, ই-শিক্ষা, ই-সেবা এবং ই-বাণিজ্যে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
এসবই সম্ভব হচ্ছে আইসিটি খাতে সরকারের বিশেষ সাফল্যের কারণে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন নিছক কল্পনা নয় বাস্তবতা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!