এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে ছাত্র বেশধারীদের হামলার গুজব,ষড়যন্ত্রে সক্রিয় কুচক্রী মহল


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ মার্চ, ২০১৯ ৯:১৪ : অপরাহ্ণ 788 Views

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রিজার্ভ করা একটি বগিতে কিছু ছাত্র বেশধারী অনুপ্রবেশকারী প্রবেশের চেষ্টা চালায়। বিনা টিকেটি রিজার্ভ করা বগিতে উঠতে নিষেধ করলে বাকবিতণ্ডার জেরে রেল কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা চালায় ছাত্র বেশধারী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর যাবতীয় অর্জনকে ম্লান করে দিতে কিছু কুচক্রী মহলের নির্দেশে রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশনে আন্দোলন-অনশনের নামে সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে ঢাকা- চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনের ‘ঝ’ বগিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, টিকিট বিহীন অবৈধ যাত্রীদের কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা বারবার অনুরোধ করেন রিজার্ভ বগিতে না উঠতে এবং টিকিট কেটে নির্ধারিত বগিতে ভ্রমণ করতে। তখন সেসব টিকেট বিহীন যাত্রী ট্রেন থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সেনাবাহিনীর রিজার্ভ করা ‘ঝ’ বগিতে কর্তব্যরতদের ওপর হামলা চালান। হামলার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীও সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা গুজব রটিয়ে দেয়। পাশাপাশি ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়া হয় এমনকি তাদের মারধরও করা হয়েছে। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রেলওয়ে ও সেনাবাহিনীর মতো রাষ্ট্রীয় সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করে এদের সম্মান ক্ষুণ্ণ করতেই এসব করছে ছাত্র নামধারী কুচক্রী মহলের সদস্যরা।

আরো জানা যায়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রয়াস চালাচ্ছে একটি পক্ষ। পক্ষটি সেনাবাহিনীর নামে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। একটি রাজনৈতিক মহলের ইশারায় গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনে কর্মরত এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিনই কিছু কিছু অবৈধ টিকেট বিহীন যাত্রী যাতায়াত করার প্রয়াস চালান। যা নতুন কিছু নয়। সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য রিজার্ভ রাখা হয়েছিল ট্রেনের ‘ঝ’ বগিটি। রাতে হঠাৎ কিছু টিকেট বিহীন যাত্রী সেখানে উঠে সমস্যার সৃষ্টি করেন। তাদের বারবার নেমে যেতে বললেও তারা নামতে অস্বীকৃতি জানায়। নামতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তারা ট্রেনে কর্মরত নিরাপত্তা কর্মী ও আমাদের উপর হামলা চালায়। অথচ এখন মিথ্যাচার করা হচ্ছে যে আমরাই নাকি তাদের উপর আক্রমণ করেছি। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। রেলওয়ে ও সেনাবাহিনীকে সাধারণ মানুষের সামনে খারাপ ভাবে উপস্থাপন করতেই বিষয়টিকে বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। এগুলো ঠিক না। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও গৌরবের জায়গাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কেউ লাভবান হতে পারবে না।

ঘটনার রাতের এক প্রত্যক্ষদর্শী চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এক স্থানীয় ব্যবসায়ী সেলিম রহমান বলেন, ঢাকা- চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনে টিকেট বিহীন কিছু যাত্রী সেনা সদস্যদের জন্য রিজার্ভ করা ‘ঝ’ বগিতে উঠলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেখানে দু’একজন ঢাবির শিক্ষার্থী ছিল বলেও শুনেছি। ট্রেনে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীরা ঐ বগি থেকে টিকেট বিহীন যাত্রীদের নেমে যেতে বললে সেখানে হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। সাধারণ যাত্রীরাও না বুঝে অনেকে প্রতিবাদ জানিয়ে সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলেন। আসলে মিথ্যার আড়ালে সত্য ঘটনাকে লুকাতে ছাত্র নামধারী কিছু যুবক এসব করেছে।

সেলিম রহমান আরো জানান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে একটি পক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী প্রকৃত ঘটনা না জেনে বিভ্রান্ত হয়ে অনশনে বসেছেন যা খুব-ই দুঃখজনক। রেলওয়ে ও সেনাবাহিনী কখনই শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে নয়। আপনাকে তো আইন মানতে হবে। আইন অমান্য করে অন্যায়ভাবে দাবি করলে তো সে দাবির প্রতি কেউ সমর্থন দিবে না। এটাই সত্য।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!