অগ্নিঝরা ২৯শে মার্চ


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ মার্চ, ২০১৯ ১:০৮ : অপরাহ্ণ 659 Views

১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ডাক এসেছিল বাঙালির স্বাধীনতার। শুরু করেছিল পরাধীনতার গ্লানি থেকে নিজেকে মুক্ত করার সশস্ত্র সংগ্রাম। প্রায় দুই যুগের ধারাবাহিক আন্দোলনের পথ ধরে এ মার্চেই অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রাম।
যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এইদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিলো। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো। এইদিন সকালে ময়মনসিংহের রাবেয়া মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের ইপিআর বাহিনী ও হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বিকেল নাগাদ ময়মনসিংহের ইস্টবেঙ্গল ব্যাটালিয়নের সমাবেশের কাজ সম্পন্ন হয়। ব্যাটালিয়নের অফিসার ও সৈনিকদের একত্রিত করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ।
একাত্তরের আজকের দিনে পাক বাহিনী চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বাইরে এসে মেডিকেল কলেজ ও নিকটবর্তী পাহাড়ের উপর সমাবেত হয়। সন্ধ্যার দিকে তারা প্রথম আক্রমণের সূচনা করে। পরে মুক্তিবাহিনী এই আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।
এদিন সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুকে সেনানিবাস থেকে হেলিকপ্টারে করে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। এরপর সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানযোগে করাচী নিয়ে যাওয়া হয়।
’৭১ এর আজকের দিনে ক্যাপ্টেন রশীদের সফল অভিযানে ২৫ পাঞ্জাবের মেজর আসলাম ও ক্যাপ্টেন ইশফাকসহ ৪০ জন পাকিস্তানি সৈন্য পাবনা থেকে গোপালপুরের পথে নিহত হয়। জীবিতদের অনেকে রাজশাহীর দিকে যাওয়ার পথে প্রাণ হারায়। এইদিন রাতে ১০০ জনের মতো বাঙালী ইপিআর সদস্যকে পাকিস্তানি সৈন্যরা প্রেসিডেন্ট হাউজ থেকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে রমনা কালী মন্দিরের কাছে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!