শিরোনাম: পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত: ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান ৫০ চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার ও দেড় শতাধিক চশমা বিতরন এনসিপি কতৃক অনিয়ম দেখলেই ফোন করার আহবান জানালেন জেলা আহবায়ক মংসা প্রু দেশে ফিরেই এভার কেয়ার হাসপাতালে ছুটে গেলেন ডা.জোবাইদা রহমান অবৈধ ইটভাটায় লামা উপজেলা প্রশাসনের অভিযান পূজা উদযাপন ফ্রন্টের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া’র রোগমুক্তি কামনায় প্রার্থনা সভা জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার ও শীতবস্ত্র বিতরন বান্দরবানে নানা আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র ২৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত

রাঙ্গামাটিতে অস্ত্র উদ্ধার,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী,খুন,গুম এবং অপহরণের প্রতিবাদে মহাসমাবেশ


প্রকাশের সময় :১৩ মে, ২০১৭ ১১:২৯ : অপরাহ্ণ 655 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী,খুন,গুম এবং অপহরণের প্রতিবাদে কাল রোববার রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম চত্ত্বরে এক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।নির্যাতিত নিপীড়িত পার্বত্যবাসীর ব্যানারে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।শনিবার দুপুরে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এর কনফারেন্সরুমে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না।এসময় জাহাঙ্গীর কামাল,এডভোকেট পারভেজ তালুকদার,বেগম নুর জাহান,কাজী মোঃ জালোয়া, ইঞ্জিনিয়ার সাহাদাৎ ফরায়জী সাকিব ও জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।সাংবাদিক সম্মেলনে নেৃতৃবন্দ আরো বলেন,শান্তি চুক্তি হওয়ায় আমরা আশা করেছিলাম,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি, অপহরন খুন এসব বন্ধে হবে,কিন্তু চুক্তির স্বাক্ষরের ২০ বছরেও পাহাড়ে শান্তি আসেনি।বরং খুন,অপহরন,চাঁদাবাজি বেড়েই চলছে।এসব ঘটনায় মানবধিকার কমিশন ন্যায়ের পক্ষে কাজ না করে সন্ত্রাসীদের পক্ষ অবলম্বন করছে।আমরা দেখতে পাচ্ছি, ছাদেকুল,মোহিনী ত্রিপুরার মতো নির্মম হত্যাকান্ড নিয়ে এসব মানবাধিকার সংস্থা রহস্যজনকভাবে নিরব ভূমিকা পালন করছে।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,চুক্তির বিনিময়ে সরকার প্রত্যাগত শরনার্থীদের পুণর্বাসনসহ,আত্মসমর্পণ করা অস্ত্রধারীদের সকলকে এবং তাদের নেতাদের প্রভূত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও তারা তাদের সন্ত্রাসী অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পারেননি।বরং চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি ক্রমাগত চাপ সৃষ্টির বিনিময়ে নানা সুযোগ সুবিধা আদায় করে আদায়কৃত অর্থ অবৈধ অস্ত্র ক্রয়ের পেছনে ব্যয় করছে।চুক্তি সম্পাদনের প্রায় দুইদশক সময় পার হয়ে গেলেও পাহাড়ে কাঙ্খিত শান্তি তো আসেনি বরং খুন,রাহাজানি,গুম,অপহরণ,সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি দিনদিন বেড়েই চলেছে।তারা ছোট টং ঘরের দোকান থেকে শুরু করে মাছ ধরার জাল,বোট চালক,অটোরিক্সা,চালক এমনকি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকদের উপর পর্যন্ত বার্ষিক চাঁদা নির্ধারণ করে দিয়েছে।শুধু তাই নয়,দুধের গাভি, যেকোনো ধরণের কৃষিপণ্য,বাঁশ এমনকি কলা এবং করলা গাছের উপরও সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হচ্ছে।পাহাড়ের আয়ের অন্যতম খাত কাঠ ব্যবসা এবং উন্নয়নের মুল কেন্দ্রবিন্দু ঠিকাদারী ব্যবসার উপর সীমাহীন চাঁদার বোঝাতো বর্ণনারও অতীত।এসব চাঁদাবাজীর খপ্পরে সাধারণ বাঙালি জনগোষ্ঠীতো বটে,গ্রামীণ প্রান্তিক পাহাড়ি পরিবারগুলোও আজ দিশেহারা।তারা না পারছে পাহাড় থেকে বের হতে আর না পারছে এটা কাউকে বলতে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এসব চাঁদাবাজী সম্পর্কে গণমাধ্যমে বিচ্ছিন্ন কিছু রিপোর্ট এলেও তা ঢাকায় বসে থাকা একপেশে বুদ্ধিজীবীদের যুক্তির মুখে জাতীয় পর্যায়ে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়,পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি আজ নতুন নয়।এ নিয়ে পার্বত্যবাসী বেশ কিছু কর্মসূচীও পালন করেছে।সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও বার বার এই দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠী তথা পাহাড়ি-বাঙালি সকল পর্যায়ের মানুষ আজ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে,পাহাড় থেকে শুধুমাত্র অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অর্ধেক কমিয়ে আনা সম্ভব।সন্ত্রাসীদের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিতে পারলে তবেই তারা সু-পথে আসার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবে।এর রেশ ধরে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাস ধীরে ধীরে কমে যাবে এবং পাহাড়ের মানুষ স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবে।সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়,কাল রবিবার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন সকাল ১১টার মধ্যে পৌরসভা চত্বরে এসে জমায়েত হবে,সেখানে থেকে মিছিল সহকারে জিমনিসিয়াম মাঠে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর