শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

নতুন গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মকর্তারা


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ মার্চ, ২০১৯ ১১:০৫ : পূর্বাহ্ণ 646 Views

নতুন গ্রেডে অন্তর্ভূক্ত হতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও রয়েছে। ইতোমধ্যে ‘শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’র চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে গ্রেড পরিবর্তনের নির্দেশনা জারি করা হতে পারে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৈষম্য দূরীকরণের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কয়েক দফায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১২তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষক পদ ১০তম গ্রেড, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ৯ম গ্রেড ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ৭ম গ্রেডে উন্নীত করা হবে।
বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও রয়েছে। এ পদ সৃষ্টির পর সারাদেশে প্রায় ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী ১০ম গ্রেডে বেতন পান। যে কারণে প্রধান শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৈষম্য দূরীকরণের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কয়েক দফায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১২তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষক পদ ১০তম গ্রেড, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ৯ম গ্রেড ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ৭ম গ্রেডে উন্নীত করা হবে।
সূত্র আরও জানায়, এতদিন শিক্ষক নিয়োগের সংশোধনী নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ কার্যক্রমের তেমন অগ্রগতি হয়নি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ বিধিমালার অনুমোদন করেন রাষ্ট্রপতি। বর্তমানে এর ভাষাগত সংশোধনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে বিজি প্রেসে দেওয়া হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটির গেজেট প্রকাশ হবে। তাই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের গ্রেড পরিবর্তনের কার্যক্রম চূড়ান্ত করতে আর কোনও বাধা রইল না।
এছাড়া সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ১০ম গ্রেড ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ৯ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ৯ম গ্রেড ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা পাচ্ছেন ষষ্ঠ গ্রেড। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদ দুটি ষষ্ঠ গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা এবং জেলার প্রধান পদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ৫ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি কর্মকর্তাদের।
উল্লেখ, বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা ৯ম গ্রেডে ১২ থেকে ১৫ বছর দায়িত্ব পালনের পর সহকারী জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। এ ক্ষেত্রে ৭ম গ্রেডে বেতন আহরণ করলেও তাদের ৯ম গ্রেডে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!