সংসদে যোগ দিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের দুই এমপি


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৪ মার্চ, ২০১৯ ১২:৫৪ : অপরাহ্ণ 545 Views

অবশেষে অনেক নাটকীয়তার পর সংসদে যোগ দিতে যাচ্ছে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ী দুই সংসদ সদস্য। মৌলভীবাজার-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। অন্যদিকে, সিলেট-২ আসনে গণফোরামের নিজস্ব প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ নিয়ে জয়ী হন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান। উক্ত দুই আসন থেকে বিজয়ী দুই সংসদ সদস্য ইতোমধ্যে ৭ মার্চ শপথ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দিতে স্পিকার শিরিন শারমিনকে আলাদা আলাদা চিঠি দিয়েছেন গণফোরাম থেকে বিজয়ী দুই সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান।
এ প্রসঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ী দুজন সংসদ সদস্য চাইলে যেকোনো সময় এমপি হিসেবে শপথ নিতে পারেন। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। শপথের জন্য সময় নির্ধারণ করা আছে নির্বাচিত হওয়ার পর ৯০ দিন পর্যন্ত। একই প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত যে কেউ শপথ নিতে পারেন। সংসদ সচিবালয় তাদের শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। এক্ষেত্রে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ কোনো বাধা নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন তাহলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে। এর সাংবিধানিক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে-যদি কোনো সংসদ সদস্য, যে দল তাহাকে নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত করিয়াছেন, সেই দলের নির্দেশ অমান্য করিয়া-(ক) সংসদে উপস্থিত থাকিয়া ভোটদানে বিরত থাকেন অথবা (খ) সংসদের কোনো বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন তাহা হইলে তিনি উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে। সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, সংসদে যোগ দিতে ইচ্ছুক ঐক্যফ্রন্টের এমপিরা যদি শপথ নেন ও সংসদে যোগ দেন তাহলে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ তাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। কারণ সংসদে যোগ দিয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ তাদের নেই। কারণ তাদের দলই তো সংসদে নেই।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুর শপথ নেয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ, যারা শত ঝুঁকি নিয়েও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সারাদেশের অনেক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মতও আমি নিয়েছি। আমি একজন মানুষও পাইনি যিনি আমার শপথের বিপক্ষে। সবাই একবাক্যে বলেছেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনরায়কে মূল্য দিয়ে শপথ নিতে। যেহেতু জনগণের জন্য রাজনীতি করি সেহেতু জনগণের মতামতকে মূল্য দিতে হবে, তাদের পক্ষে সংসদে কথা বলার জন্যই আমি সংসদে শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে, সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত মোকাব্বির খানও শপথ নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ নেয়ার বিষয়ে আমার নেতা ড. কামাল হোসেন সবসময় ইতিবাচক। আমরা দু’জনই (সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির) শপথ নেব।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পায়। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় ৮টি আসন। এদিকে ঐক্যফ্রন্টে থেকে বিজয়ী দুজন এমপির সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!