শিরোনাম: বৈরী আবহাওয়াঃ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনঃ আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ কর্মপরিকল্পনা লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা

সংসদে বাসন্তী চাকমার নির্লজ্জ মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও পদত্যাগ দাবি


প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় :২ মার্চ, ২০১৯ ১২:৫১ : পূর্বাহ্ণ 523 Views

মহান জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে বাসন্তী চাকমার নির্লজ্জ মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের তিব্র নিন্দা জানিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা।

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা গত ২৭ এ ফেব্রুয়ারী মহান সংসদে দাড়িয়ে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে বহিরাগত ও সেটেলার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কাল্পনিক বক্তব্যের মাধ্যমে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে শান্তিবাহিনীর এজেন্ডা বাস্তবায়ণ করার মাঠে নেমেছে সাম্প্রদায়িক এই সংসদ সদস্য।পিবিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখা তার বক্তব্যের তিব্র নিন্দা জানায়।

পিবিসিপি বাসন্তী চাকমাকে স্পস্ট করে বলে দিতে চায় যে তিনি যদি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে স্বেচ্ছায় সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ না করে তাহলে পার্বত্য চট্রগ্রামের পাহাড়ী এবং বাঙালিদের সাথে নিয়ে তাকে পাহাড় থেকে অপসারণের ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।

পিবিসিপি নেতৃবৃন্দ বলেন সসস্ত্র শান্তিবাহিনীকে নিজের ভাই বলে পরিচয় দিয়ে বাসন্তী শান্তিবাহিনীর অঘোষিত সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রমান করেছেন।তার বক্তব্যের অসত্যতা তার বক্তব্যের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন এখানকার হত্যাকান্ড শন্তু গ্রুপ ও প্রিতি গ্রুপের মাধ্যমে সংগঠিত হয়।

পিবিসিপির নেতৃবৃন্দ বলেন,১৯৮৬ সালে পানছড়িতে একটি গণহত্যা হয়েছিলো ঠিকই তবে সেটা বাসন্তী চাকমার দেয়া তথ্য ০১ মে তারিখে নয়। সেটি হয়েছিলো ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সময়ে। স্থান ছিলো খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং, চেঙ্গী, পানছড়ি, লতিবান, উল্টাছড়ি ৫টি ইউনিয়নের ২৪৫টি গ্রামে। ঐ দিন সেনাবাহিনী এবং বাংগালী মিলে কোন পাহাড়িকে “আল্লাহু আকবার” বলে জবাইও করেনি। বরং বাসন্তী চাকমার শান্তিবাহিনীর ভাইয়েরা ঐ এলাকার প্রত্যেকটি বাংগালী গ্রামে অগ্নিসংযোগসহ লুটতরাজ এবং নিরস্ত্র নিরীহ ৮৫৩ জনের অধিক বাংগালী নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতাকে হত্যা করে। বাংগালী নারীদেরকে পাকিস্তানী সেনাদের মত করে গণধর্ষণ ও পরে হত্যা করে।

শান্তিবাহিনীর হামলায় ঐদিন আহত প্রায় ৫০০ জনের অধিক বাংগালী। ৬২৪০টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয় বাসন্তী চাকমার ভাই শান্তিবাহিনীর হায়েনারা। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বাসন্তী চাকমার ভাইয়েরা।

ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখা এবং বেচে যাওয়া কিছু কিছু সাক্ষী আজো আছে। ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল ঐ রাতে খাগড়াছড়ি জেলাতে বাসন্তী চাকমার ভাই শান্তিবাহিনীরা আরো কয়েকটি গণহত্যা চালিয়েছিলো যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ দিঘীনালা গণহত্যা ও মাটিরাংগা গণহত্যা। এছাড়াও, কুমিল্লাটিলা, শুকনাছড়ি, দেওয়ান বাজার, সিংহপাড়া, তাইন্দং গণহত্যা (১৯৮৬ সালের ১৮ মে) এবং দিঘীনালা গণহত্যা (১৯৮৬ সালের ২ জুলাই) ঐ বছরেই সংঘটিত হয়েছিলো যেখানে বাসন্তী চাকমার ভাই বর্বর শান্তিবাহিনী বাংগালীদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেছিলো।

তাই বাসন্তী চাকমাকে মহান জাতীয় সংসদে বানোয়াট বক্তব্যের জন্য জাতীর কাছে ক্ষমা চেয়ে স্বেচ্ছায় জাতীয় সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছে পিবিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখা।

অন্যথায় পাহাড়ের শান্তিকামী মানুষদের সাথে নিয়ে তাকে পাহাড় থেকে অপসারণের হুমকি দিয়েছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা।

বার্তা প্রেরক
আব্দুল্লাহ্ আল মোমিন
প্রচার সম্পাদক
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ
রাঙামাটি জেলা শাখা
ফোন ০১৮২৭৭৩৭১৩২।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!