নির্মিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ৩:৪৩ : অপরাহ্ণ 1029 Views

আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। এটির কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের বিমানবন্দর সড়ক ও সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যানজট নিরসনের আশা করছে কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক একই দিনে এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করার পাশাপাশি মেগাপ্রকল্প কর্ণফুলীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর বোরিং কাজের উদ্বোধন কর্মসূচীর কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজে হাত দিয়েছে, যা আগামীতে নগরীর বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর ও দ্রুততর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নগরীর লালখান বাজার থেকে চট্টগ্রাম বন্দর ঘেঁষে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রতিটি জংশনে অর্থাৎ টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, বারিক বিল্ডিং, নিমতলা, চট্টগ্রাম কাস্টম, চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, কাটগড়, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত মোড়সহ বিভিন্ন জংশনে যানবাহন উঠানামার জন্য ১৮টি র‌্যামের ব্যবস্থা রাখা হবে। এছাড়া টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, কাস্টম, ইপিজেড এবং কাটগড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জংশনসমূহে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-বে নির্মাণেরও সুবিধা থাকবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে।
ব্যয়বহুল এ প্রকল্পে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২০ ভাগ অর্থাৎ ৬শ’ কোটি টাকা এবং বাকি ২ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা দেবে সিএটিআইসি-ইএনজি। প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগবে ৩৬ মাস। ৬০ ফুট প্রশস্ত চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামার পথ থাকবে ছয়টি। এর মধ্যে ইপিজেড, কাস্টম মোড়, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, সদরঘাট এবং ফিশারি ঘাটে ওঠা-নামার পথ থাকবে বলে চউক সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া একই দিনে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের বোরিং উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ টানেল। টানেলটি নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে অপর প্রান্তে যাবে। নদীর তলদেশে সর্বনিম্ন ৩৬ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ ফুট গভীরে স্থাপন করা হবে দুটি টিউব।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে এক নির্বাচনী জনসভায় তার বক্তব্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার দল যদি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিজ কাঁধে নেবেন। নগরবাসীকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করেছেন। একের পর এক উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে বন্দর নগরীর চিত্র।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর