শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

এবার জেএসএস কে হুশিয়ারী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলো লামাবাসী


প্রকাশের সময় :১০ মে, ২০১৭ ৪:৪৪ : অপরাহ্ণ 737 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-জেএসএস কে হুশিয়ারী জানিয়ে লামাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছে।লামাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় প্রভাবশালী মুরং নেতা মেনরুম মুরং।সংবাদ সম্মেলনের লিখিত অভিযোগ টি সিএইচটি টাইমস ডটকম পাঠকদের জন্য নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো।

গত ৭মে,২০১৭ইং তারিখ দৈনিক প্রথমআলো পত্রিকায় “বান্দরবানে ভুমি বেদখল সরেজমিন পরিদর্শনে বাধা একটি বাহিনীর ইন্ধনের” শীর্ষক সংবাদে উল্লেখিত মিথ্যাচার ও অহেতুক একটি বাহিনী কে দোষারোপ এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনঃ-

উপস্থিত সাংবাদিক,এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আন্তরিক সালাম, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করুণ।গত ৭মে ২০১৭ ইং তারিখ ঢাকায় ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য লিখিত বক্তব্যের আলোকে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “বান্দরবানে ভুমি বেদখল সরেজমিন পরিদর্শনে বাধা একটি বাহিনীর ইন্ধনে” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়।প্রকাশিত সংবাদে পঙ্কজ ভট্টাচার্য অহেতুক একটি বাহিনী কে দোষারোপ করেছে এবং একটি বাঙ্গালী সাম্প্রদায়িক বলে উল্লেখ করেছে। আমরা পাহাড়ি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এছাড়াও দৈনিক প্রথম আলো কতৃপক্ষের কান্ডজ্ঞানহীন সংবাদ ছাপানোর বিরুদ্ধেও আমরা নিন্দা প্রকাশ করছি এবং ঐক্য ন্যাপের সভাপতি সহ ওই সংগঠন কে বান্দরবান জেলায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি।

কারণ ঐক্য ন্যাপের প্রতিনিধি দল লামায় আসার বিষয়ে আমরা কোনও অবস্থাতেই অবগত ছিলাম না।আমরা আমাদের পুর্ব কর্মসূচির অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্র,গোলা বারুদ,অপহরণ, খুন,চাদাবাজী ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী শান্তিবাহিনী তথা জেএসএস নামধারী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অবরোধ কর্মসূচী পালনকালে ওই প্রতিনিধি দল অবরোধের মুখে পরে।যার কারনে লামাতে প্রবেশ করতে পারেনি।

কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি ওই প্রতিনিধি দল পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের যোগসাজশে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে চল্লিশ হাজার পার্বত্য বাসীর সন্তু লারমার ইন্ধনে পার্বত্য চট্রগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার মানসেই লামা আসছিলো।এছাড়াও ওই পঙ্কজ ভট্টাচার্য বিভিন্ন সময় জেএসএস নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে পার্বত্য চট্রগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছে।

পার্বত্য চট্রগ্রামে সন্ত্রাসীরা এখনও প্রতি বছর চারশো কোটি টাকা চাদা আদায় করে।পঙ্কজ ভট্টাচার্য রাজধানীর বুকে বসবাস করে জেএসএস সন্ত্রাসীদের নিকট থেকে মোটা অংকের মাশোহারা নেয়।আর যদি তা নাই হতো তাহলে তিনি কেনও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মদদ দিবেন এবং বেসামরিকিকরনের দাবী জানাবেন।উনি কি পার্বত্য চট্রগ্রামে বসবাস করেন?উনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বাসীর কষ্ট কি বুঝেন?ঢাকায় এসি রুমে বসে পার্বত্যবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত এর কথা বলা আহম্মকের কাজ।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরাঃ
ইদানীং জেএসএস নামীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠনটি পাহাড়ের শান্তি প্রিয় মুরং যুবকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দল ভারী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।তাদের মিথ্যা প্রলোভনে সাড়া না দিলে তারা অস্ত্রের মুরংদের কে তাদের দলে যোগ দিতে বাধ্য করে।এছাড়াও তারা অন্যান্য জেলা থেকে লামা আলীকদমের মতো শান্তিপ্রিয় উপজেলায় এসে অস্ত্রের মুখে নিরীহ মুরং দের বাধ্য তাদেরকে আশ্রয় দিতে।তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে আমাদের প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে।প্রিয় ভাইয়েরা লক্ষ্য করুণ;বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির পতাকা নেমে যায়।কিন্তু সন্তু লারমার গাড়ির পতাকা নামেনা।তাই তিনি পার্বত্য বাসী কে মানুষ মনে করেন না।সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের সুবিধার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম কে বেসামরিকি- করনের দাবি জানিয়েছে।আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।এছাড়াও তিনি পুনরায় পার্বত্য চট্রগ্রামে চেষ্টা করলে আমরা আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এর ঘোষণা দিচ্ছি।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরাঃ
বর্তমানে পার্বত্য চট্রগ্রামে যে হারে অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়েছে,তাতে সামরিক বাহিনী ছাড়া এই অবস্থা থেকে উত্তরন কিছুতেই সম্ভব নয়।সামরিক বাহিনী থাকার কারনে এখনও পার্বত্য চট্রগ্রাম অসম্প্রদায়িক আবাসভূমির মেলবন্ধণ সৃষ্টি হয়েছে এবং এখানকার সাধারণ মানুষ নিরাপদে বসবাস করছে।সুতরাং আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আরও সেনাক্যাম্প বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।সম্মানিত সাংবাদিক,এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ,আসুন আমরা এই ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহি ও সাম্প্রদায়িক দালালদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই এবং পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করি।পরিশেষে সকলকে সালাম ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে আমাদের লিখিত বক্তব্য শেষ করছি।এদিকে মিত্থা সংবাদ ছাপানোর প্রতিবাদে লামা আলীকদমের স্থানীয় জনসাধারণ দৈনিক প্রথমআলো পত্রিকা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।এসময় বিক্ষুদ্ধ নাগরিকরা আগামীতে প্রথমআলো পত্রিকা বর্জনের আহবানও জানিয়েছে।

 

 

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!