এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদার মুক্তির দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ৩:০৭ : অপরাহ্ণ 624 Views

এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবাসে আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেই বিএনপি ড. কামালের নেতৃত্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পর থেকে বিপাকে রয়েছে বিএনপি।
সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একাধিক নেতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদার মুক্তির জন্য আবেদন জানিয়েছেন । বিএনপি নেত্রীর কারাবাসের এক বছর পূর্তির আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে খালেদার মামলাগুলোয় জামিনের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে তার মুক্তির ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী।
তিনি বলেন, “এই সরকার প্রধানের উদ্দেশ্যে আমাদের আহ্বান, এবার একটু ক্ষান্ত দিন। ম্যাডামকে আপনি এবার মুক্তি দিন। আমি আপনার কাছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।”
এছাড়া বিএনপি নেতা ডাঃ জাফরুল্লাহ সম্প্রতি খালেদার মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপের দাবি জানিয়েছেন।
কিন্তু, বিএনপির কেন্দ্রীয় এসব নেতারা একটি ব্যাপার বেমালুম ভুলে গেছেন যে, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দণ্ডিত কোনো আসামীকে মুক্তি কিংবা কোনো বিচারকার্যে হস্তক্ষেপ করার কোনো এখতিয়ার কিংবা অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই। প্রকৃতপক্ষে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিএনপি নেতাদের খালেদার মুক্তির আবেদন জানানো মূলত বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক অপকৌশল কিংবা অদূরদর্শিতার প্রমাণ বহন করে।
খালেদা জিয়া যে মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন, উক্ত মামলাটি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে করা হয়েছিলো। দীর্ঘদিন উক্ত বিচারকার্য চলেছে। বিএনপি নেত্রীর পক্ষে বিএনপি-পন্থী আইনজীবীরা কোনো যৌক্তিক প্রমাণ আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়াতেই এই সাজা ভোগ করছেন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই উক্ত মামলায় এমন রায় দিয়েছে আদালত। আদালতের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকারের নেই। আদালতের সিদ্ধান্তই হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে শেষ কথা।
বাস্তবিক অর্থে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাইলে তা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই করতে হবে। কিন্তু, বিএনপি নেতারা আইনি লড়াইয়ের জন্য কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, তারা শুধু ঢালাওভাবে সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এটা মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে, আদৌ কি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা খালেদার মুক্তি চান? নাকি খালেদার কারাবাস নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটাই একমাত্র উদ্দেশ্য তাদের?

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!