শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

হার্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ৮:১৩ : অপরাহ্ণ 708 Views

সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের তথ্য সংরক্ষণের জন্য বড় পরিসরে ডেটা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ‘ফোর টিয়ার ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার’ স্থাপনের এ প্রকল্প হাতে নেয়। এ ডেটা সেন্টারকে ‘হার্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বলছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে প্রায় ৭ একর জায়গার ওপর প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার বা জাতীয় ডেটা সেন্টার। এ ডেটা সেন্টারে আগামী জুন মাস নাগাদ পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু হবে। তখন চাইলে বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন এ প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ডেটা সেন্টারের ভবন নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। এর মাঝেই কয়েকটি তলায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি।
এটি ডেটা সেন্টারগুলোর মধ্যে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার হতে চলেছে। সরকারের অঙ্গীকার ‘রূপকল্প-২০২১ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অংশ হিসেবে দেশের তথ্য–উপাত্ত নিরাপদে সংরক্ষণ ও নিরবচ্ছিন্ন গুণগত মানসম্পন্ন ই-সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এখন সরকারি-বেসরকারি খাতে তথ্য সংরক্ষণের জন্য বড় পরিসরে ডেটা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তিসহ অন্য সব প্রকল্পের বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ক্লাউড কম্পিউটিং ও জি-ক্লাউড প্রযুক্তিতে ডেটা সেন্টারগুলোর মধ্যে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্থাপনা এটি যার ডাউন টাইম শূন্যের কোঠায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আপটাইম ইনস্টিটিউট থেকে টিয়ার-৪ (TIER-IV) সার্টিফিকেশন অব অপারেশনাল সাসটেইনেবিলিটির সনদ পাবে এই ডেটা সেন্টার। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, নির্বাচন কমিশন, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, এটুআই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত এ ডেটা সেন্টারে স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ডেটাগুলোর নিরাপত্তায় একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ, যা ভবিষ্যতে আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। তাই তথ্যের সুরক্ষার জন্য এই ডেটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ডিজিটাল কনটেন্ট সংরক্ষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ডিজিটাল কনটেন্টগুলোর সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
এদিকে নব নির্বাচিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, চীনের সহযোগিতায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ডেটা সেন্টারের ৯৯ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ডেটা সেন্টারের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পরে দ্রুতই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা হবে।
জনপ্রশাসনে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজের দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো, তথ্য সংরক্ষণ ও জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গাজীপুরে তৈরি এ ডেটা সেন্টার প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!