এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ভোট নষ্ট করার আগেই চিনে রাখুন বর্ণচোরা জাতীয় বেইমানদের


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ৪:১৫ : অপরাহ্ণ 560 Views

বর্ণচোরা এবং সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে তারা বেশি পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচারদের দোসর হয়ে তারা পথের ফকির থেকে কোটিপতি হয়েছেন। অপরাজনীতির চর্চা করে তারা আজ অজনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। এদের অনেকে আবার বিভিন্ন নির্বাচনে জামানত হারিয়ে জনগণের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছেন। তাদের অবস্থা অনেকটা ঢাল-তলোয়ারবিহীন সেনাপতির মতো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসব সুবিধাবাদী নেতারা বিভিন্ন ব্যানারে রাজনীতির মাঠে লাফ-ঝাপ শুরু করেছেন। কথা ফুলঝুরি ছড়িয়ে দেশ পরিবর্তন করার আকাশ-পাতাল স্বপ্ন দেখছেন তারা। সংসদ নির্বাচনে আপনার মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আগে চলুন জেনে নিই জাতীয় এই বেইমানদের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান….

ড. কামাল হোসেন: ১৯৭২ সালে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সরকারের আইনমন্ত্রী এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের পর গোপনে দেশত্যাগ করেন। ফিরে এসে যেকটি নির্বাচন করেন প্রতিটিতে জামানত হারিয়েছেন। সর্বশেষ গণফোরাম গঠন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার তিনি বিএনপির বিকল্প মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করছেন। গুঞ্জন উঠেছে, ড. কামাল হোসেন গোপনে জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে দলটিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না: মান্না ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদগার তৈরি করার অপরাধে দল থেকে বাদ পড়ে যান। বর্তমানে তিনি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর প্রথম সারির নেতা হিসেবে সক্রিয় আছেন। মান্না কোন নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। যেকটি নির্বাচন করেছেন, প্রতিটিতে জামানত হারিয়েছেন। অজনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন মান্না।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ: বলা হয় এরশাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। এরশাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতেন মওদুদ। তিনি ছিলেন জাপার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। এরশাদের যখন পতনের মুহূর্তেও তিনি টেলিভিশনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন যে কীভাবে তিনি ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন। এরশাদের পরিণতি বিবেচনা করে কালবিলম্ব না করে যোগ দেন বিএনপিতে। এক সময়ের স্বৈরশাসকের বন্ধু হয়ে তিনি এখন বিএনপির ব্যানারে দেশকে গণতন্ত্রের ছবক দেন।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন: শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এরশাদের সময় তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী এবং শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। দলের দুঃসময়ে চরিত্র পাল্টানোর দায়ে জাতীয় পার্টি ১৯৯২ সালে তাকে বহিষ্কার করে। তিনি এখন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান।

আ স ম আব্দুর রব: বাংলাদেশের রাজনীতিতে রবকে সবাই এরশাদের গৃহপালিত বিরোধী দলের নেতা হিসেবে চেনে। ১৯৮৮’র পাতানো নির্বাচনে বিরোধী দলে ছিলেন রব। রবের কাজ ছিলো এরশাদের কাজকে বৈধতা দেয়া। এরশাদের চাটুকারিতা করে রব তৎকালীন সময়ে রাষ্ট্রীয় সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন। ৯০ এর নির্বাচনের পর স্বৈরাচারের পতনের পর জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য তিনি পালিয়ে ছিলেন এবং তার বাড়ি আক্রান্ত হয়েছিল। মৃতপ্রায় জেএসডি’র পতাকা আঁকড়ে ধরে তিনি এখন ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করছেন। গুঞ্জন উঠেছে, ঐক্যফ্রন্টে ফাটলের জন্য রব দায়ী।

নিতাই রায় চৌধুরী: এরশাদের আইন প্রতিমন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!