শিরোনাম: না ফেরার দেশে নীলিমা বড়ুয়াঃ সিএইচটি টাইমস ডটকমের শোক প্রকাশ পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন

ভোট নষ্ট করার আগেই চিনে রাখুন বর্ণচোরা জাতীয় বেইমানদের


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ৪:১৫ : অপরাহ্ণ 542 Views

বর্ণচোরা এবং সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে তারা বেশি পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচারদের দোসর হয়ে তারা পথের ফকির থেকে কোটিপতি হয়েছেন। অপরাজনীতির চর্চা করে তারা আজ অজনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। এদের অনেকে আবার বিভিন্ন নির্বাচনে জামানত হারিয়ে জনগণের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছেন। তাদের অবস্থা অনেকটা ঢাল-তলোয়ারবিহীন সেনাপতির মতো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসব সুবিধাবাদী নেতারা বিভিন্ন ব্যানারে রাজনীতির মাঠে লাফ-ঝাপ শুরু করেছেন। কথা ফুলঝুরি ছড়িয়ে দেশ পরিবর্তন করার আকাশ-পাতাল স্বপ্ন দেখছেন তারা। সংসদ নির্বাচনে আপনার মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আগে চলুন জেনে নিই জাতীয় এই বেইমানদের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান….

ড. কামাল হোসেন: ১৯৭২ সালে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সরকারের আইনমন্ত্রী এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের পর গোপনে দেশত্যাগ করেন। ফিরে এসে যেকটি নির্বাচন করেন প্রতিটিতে জামানত হারিয়েছেন। সর্বশেষ গণফোরাম গঠন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার তিনি বিএনপির বিকল্প মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করছেন। গুঞ্জন উঠেছে, ড. কামাল হোসেন গোপনে জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে দলটিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না: মান্না ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদগার তৈরি করার অপরাধে দল থেকে বাদ পড়ে যান। বর্তমানে তিনি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর প্রথম সারির নেতা হিসেবে সক্রিয় আছেন। মান্না কোন নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। যেকটি নির্বাচন করেছেন, প্রতিটিতে জামানত হারিয়েছেন। অজনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন মান্না।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ: বলা হয় এরশাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। এরশাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতেন মওদুদ। তিনি ছিলেন জাপার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। এরশাদের যখন পতনের মুহূর্তেও তিনি টেলিভিশনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন যে কীভাবে তিনি ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন। এরশাদের পরিণতি বিবেচনা করে কালবিলম্ব না করে যোগ দেন বিএনপিতে। এক সময়ের স্বৈরশাসকের বন্ধু হয়ে তিনি এখন বিএনপির ব্যানারে দেশকে গণতন্ত্রের ছবক দেন।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন: শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এরশাদের সময় তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী এবং শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। দলের দুঃসময়ে চরিত্র পাল্টানোর দায়ে জাতীয় পার্টি ১৯৯২ সালে তাকে বহিষ্কার করে। তিনি এখন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান।

আ স ম আব্দুর রব: বাংলাদেশের রাজনীতিতে রবকে সবাই এরশাদের গৃহপালিত বিরোধী দলের নেতা হিসেবে চেনে। ১৯৮৮’র পাতানো নির্বাচনে বিরোধী দলে ছিলেন রব। রবের কাজ ছিলো এরশাদের কাজকে বৈধতা দেয়া। এরশাদের চাটুকারিতা করে রব তৎকালীন সময়ে রাষ্ট্রীয় সুবিধা গ্রহণ করেছিলেন। ৯০ এর নির্বাচনের পর স্বৈরাচারের পতনের পর জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য তিনি পালিয়ে ছিলেন এবং তার বাড়ি আক্রান্ত হয়েছিল। মৃতপ্রায় জেএসডি’র পতাকা আঁকড়ে ধরে তিনি এখন ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করছেন। গুঞ্জন উঠেছে, ঐক্যফ্রন্টে ফাটলের জন্য রব দায়ী।

নিতাই রায় চৌধুরী: এরশাদের আইন প্রতিমন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!