এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

এখন ৫ গ্রামের বেশি ইয়াবা পেলেই মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশের সময় :১০ অক্টোবর, ২০১৮ ৪:৩০ : অপরাহ্ণ 739 Views

বান্দরবান অফিসঃ-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের আগের আইনটি ১৯৯০ সালে করা। ২৮ বছরের পুরনো আইনটির সঙ্গে বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী সব আইনের সমন্বয় করে নতুন খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নতুন আইনে এই সময়কালে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া হেরোইন- কোকেনসহ সমজাতীয় ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত মাদকদ্রব্য ২৫ গ্রাম বা তার বেশি পরিমাণে বহনে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২৫ গ্রামের কম বহনে সর্বোচ্চ ১০ বছরের এবং সর্বনিম্ন ২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

মাদকের পৃষ্ঠপোষকতা, পাঁচ গ্রামের বেশি ইয়াবা, ২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন বা কোকেন উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণনের পাশাপাশি সেবন করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫ গ্রামের বেশি ইয়াবা বহন, বিক্রি, সেবন কিংবা চোরাচালানে যুক্ত থাকলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই অপরাধে সর্বনিম্ন সাজার প্রস্তাব রাখা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৫ গ্রামের কম ইয়াবা বহনে সর্বনিম্ন ৫ বছর ও সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড। উভয় ক্ষেত্রেই জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে।

নতুন আইনে ইয়াবা, সিসাবার, ডোপ টেস্টের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । সব ধরনের মাদককে নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমন কোনো বিষয় নেই যা আইনে কাভার করবে না। কোনো না কোনোভাবে তালিকার মধ্যে চলে আসবে। তাছাড়া মাদকদ্রব্যের সঙ্গে অন্য যে কোনো দ্রব্য মিশ্রিত বা একীভূত দ্রব্য সমুদয় পণ্য মাদকদ্রব্য বলে গণ্য হবে।

সিসার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ভেষজ-নির্যাস সহযোগে দশমিক ২ শতাংশের ঊর্ধ্বে নিকোটিন এবং এসএস ক্যানেল মিশ্রিত উপাদান।

যদি কোনো পানীয়তে ০.৫ শতাংশ বা এর বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল থাকে তবে সেটি বিয়ার হিসেবে গণ্য হবে। এই জাতীয় পণ্য বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্সের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে, লিখিত মুচলেকা প্রদান সাপেক্ষে এক লাখ টাকা জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।

মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে শনাক্তকরণে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ডোপ টেস্ট করা যাবে। টেস্ট পজিটিভ হলে কমপক্ষে ছয় মাস ও সর্বোচ্চ ৫ বছর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।

মাদকাসক্তের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, শারীরিক বা মানসিকভাবে মাদকদ্রব্যের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তি ও অভ্যাসবসে মাদকদ্রব্য গ্রহণ বা সেবনকারী ব্যক্তি।

এই সংজ্ঞায় আরও বলা হয়েছে, এই আইনের তফসিলে উল্লিখিত কোনো দ্রব্য যা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা মাদকদ্রব্য বলে ঘোষিত অন্য কোনো দ্রব্য যা সংশ্লিষ্ট তফসিলের অংশ বলে গণ্য হবে। মাদকদ্রব্যের সঙ্গে অন্য যেকোনো দ্রব্য মিশ্রিত বা একীভূত দ্রব্য সমুদয় পণ্যও মাদকদ্রব্য বলে গণ্য হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!