এই মাত্র পাওয়া :

দুদকের তদন্ত কাজে বাধা প্রদান এস কে সিনহার


প্রকাশের সময় :২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ৩:২০ : অপরাহ্ণ 774 Views

বান্দরবান অফিসঃ-আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের অসদাচরণ সংক্রান্ত অপরাধের তদন্ত না করার আদেশ দিয়ে দুদক বরাবর সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহার নির্দেশক্রমে সুপ্রীম কোর্টের প্যাড ব্যবহার করে চিঠি প্রেরণ করে রেজিস্টার জনাব অরুনাভ চক্রবর্তী।

আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোঃ জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিষয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে ২০১৭ সালের ২ মার্চ সুপ্রীম কোর্টের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এর জবাবে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল আপীল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দুদকে পাঠায় সুপ্রীম কোর্ট প্রশাসন। ওই চিঠিতে বলা হয়, বিচারপতি জয়নুল আবেদীন দীর্ঘকাল বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপীল বিভাগের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি অনেক মামলার রায় প্রদান করেন। অনেক ফৌজদারি মামলায় তার প্রদত্ত রায়ে অনেক আসামির ফাঁসিও কার্যকর করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের দেয়া রায় সবার ওপর বাধ্যকর। এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তার দেয়া রায়সমূহ প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জনমনে বিভ্রান্তির উদ্রেক ঘটবে। সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন হবে না মর্মে সুপ্রীম কোর্ট মনে করে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠি পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাইও করে দুদক। চিঠি পাওয়ার পর তা কমিশনের সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিটির সত্যতা সম্পর্কে খোঁজ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিঠির সত্যতা যাচাই করে তা আপীল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তীরই বলে নিশ্চিত হয় দুদক। এ বিষয়ে দুদকের একটি নথিতে বলা হয়েছে, ‘পত্রটি স্বাক্ষরকারী অরুনাভ চক্রবর্তী মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার অনুমোদন ও নির্দেশক্রমে প্রেরিত পত্রটিতে তার স্বাক্ষর সঠিক।’

আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, সাবেক বিচারপতির দুর্নীতির তদন্ত বন্ধে সুপ্রীম কোর্টের চিঠি দেওয়া ঠিক নয়। কারণ, আইনের চোখে সবাই সমান। যেকোন অভিযোগের বিষয়েই দুদক তদন্ত করতে পারবে, দুদক আইনে তাই বলা আছে। আরেক সাবেক প্রধান বিচারপতি মোঃ তাফাজ্জল ইসলামও বলেছেন, আইনের চোখে সবাই সমান। এটি করার মাধ্যমে বিচারপতি এস কে সিনহা ন্যায় বিচারে প্রতিবন্ধকতা বা বাধা হিসেবে অপরাধ করেছেন- যা দণ্ডবিধির অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর