শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

রাজউকের দুটি প্লট বরাদ্দ : অনিয়মের অভিযোগ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে


প্রকাশের সময় :২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ৪:১৭ : অপরাহ্ণ 697 Views

বান্দরবান অফিসঃ-রাজউকের প্লট নিয়ে অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে। গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থাকার সুবাদে রাজউক থেকে ৫ কাঠা করে ১০ কাঠার দুটি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন- একটি নিজ নামে অপরটি নিজ ভাইয়ের নামে। দুটি প্লটই রাজউক প্রথমে ৩ কাঠা করে বরাদ্দ দিলেও পরে বিধিবহির্ভূতভাবে বারবার স্থান পরিবর্তন করে ৫ কাঠা করে বরাদ্দ নেন। পরে নিজ নামে বরাদ্দ নেয়া প্লটের ওপর নির্মিত বাড়িটি এক সময়ের পিএস (বর্তমানে সিঙ্গাপুর প্রবাসী) রণজিৎ চন্দ্র সাহার স্ত্রী শ্রান্তি রায়ের অনুকূলে আম মোক্তারনামা করে দিয়েছেন। এনবিআর সূত্র জানায়, বিচারপতি সিনহা তার আয়কর রিটার্নে অদ্যাবদি এই বাড়িটি প্রদর্শন করেননি।

এছাড়া প্রধান বিচারপতি তার সর্বশেষ (২০১৬/২০১৭) আয়কর রিটার্নে তার ভাইয়ের নামে বরাদ্দকৃত প্লটের ওপর নির্মিত ৯তলা বাড়িটি তার নিজের নামে প্রদর্শন করেছেন। যা অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে বের হয়ে আসে। যদিও প্রধান বিচারপতি তার আয়কর রিটার্নে নির্মাণাধীন ৯তলা ভবনটির মূল্য মাত্র ২ কোটি ২ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। কিন্তু সরজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় মূল্যমান হিসেবে বাড়িটির আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা।

গত ০৩ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখে উত্তরা সেক্টর-১৫ এ, রোড-১ এর তিন কাঠা আয়তনের ১৫ নম্বর প্লটটি তৎকালীন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে বরাদ্দ করা হয়। পরবর্তীতে তিনি ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে তাঁর বরাদ্দকৃত প্লটটি গত ১৩ এপ্রিল ২০০৪ সালে ১৫ নম্বর সেক্টর ১৫ হতে ১০ নম্বর সেক্টরে (রোড-১২, প্লট ৫১) নিয়ে আসেন এবং প্লটের আয়তন ৩ কাঠার পরিবর্তে ৫ কাঠায় পুনঃনির্ধারণ করত পুনঃবরাদ্দ করান ।

অতিরিক্ত দুই কাঠা জমির মূল্য রাজউক কর্তৃক দুইবার (১৩ এপ্রিল ২০০৪ এবং ১৩ জুন ২০১৬ তারিখে) নোটিশ দেওয়ার পরও পরিশোধ করেননি। বরাদ্দ পত্রের ১১ নম্বর শর্ত অনুযায়ী প্লট প্রাপ্তির ২ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করার কথা থাকলেও বিগত ১৩ বছর যাবত তিনি বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লটের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করেননি।

প্লটের সমুদয় মূল্য পরিশোধ ব্যাতিরেকে প্লট দখল ও রেজিস্ট্রেশন না করার ব্যাপারে রাজউক এর বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তিনি শুধু দখলই করেননি বরং তিনি অন্যায় ভাবে এই প্লটের উপর ৬ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন যা আইনের প্রতি তাঁর অশ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ এবং সাংবিধানিক পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার। সেই বাড়ি তাঁর তৎকালীন সহযোগী রণজিৎ চন্দ্র সাহার স্ত্রী শান্ত্রি রায় এর অনুকূলে আম মোক্তার নামা প্রদান করেন এবং তাঁর আয়কর রিটার্ণে অদ্যাবধি এই বাড়ীটি প্রদর্শন করেন নি। প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিজ সম্পদের তথ্য গোপন করার ফৌজদারি অপরাধ তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!