মাদ্রাসা শিক্ষার মতো সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা আধুনিকায়ন করছে সরকার


প্রকাশের সময় :৩০ আগস্ট, ২০১৮ ৩:২৮ : অপরাহ্ণ 788 Views

বান্দরবান অফিসঃ-প্রত্যেক দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তাদের বর্ণমালা ও ভাষাতেই সাধারণত  লিখা হয়ে থাকে। এসব বর্ণমালা বা ভাষা না জানলে তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে জানা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। পালি ও সংস্কৃত সেরকম প্রাচীন একটি ভাষা। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র দেবভাষা। বৌদ্ধ ধর্মের ত্রিপিটক পালি ভাষায় লিখিত। দেশের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনেক হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষার্থী মাধ্যমিকে সংস্কৃত ও পালি ভাষায় পড়াশুনা ও পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। অনেকে এই ভাষার উপর ডিপ্লোমাও করে থাকেন। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংস্কৃত ও পালি  একটি পবিত্র ভাষা হওয়ায় তাদের অনেকেই এই ভাষা নিয়ে উচ্চ শিক্ষা বা ডিপ্লোমা করতে সাধারণত বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আমাদের দেশে সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা পড়ানো হয় ২২৭টি কলেজে। কলেজে অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক রয়েছেন ৬১৪ জন। এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন মোট ৮৪১ জন। প্রতি বছর ২০ হাজার শিক্ষার্থী এই ভাষা থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। এসএসসি পাসের পর তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন তারা। কাব্যতীর্থ, ব্যাকরণতীর্থ, আয়ুর্বেদতীর্থ, পুরাণ, জ্যোতিঃশাস্ত্র, স্মৃতি, বেদ ও বেদান্ত বিষয়ে পড়ানো হয় তাদের। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই ভাষা নিয়ে অনেক চর্চার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে সেই ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে। এজন্য শিক্ষার্থীদের এই ভাষা চর্চার ইচ্ছা থাকলেও মাধ্যমিকের পর তারা সেই সুযোগ কিছুটা কম পাচ্ছেন। তাদেরকে ডিপ্লোমার উপরই ভরসা রাখতে হচ্ছে ও সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এমনকি শিক্ষার্থীরা যারা ডিপ্লোমা করছেন তাদের অনেকেই পাচ্ছেন না তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু।

বর্তমান সরকার এই ধরণের সকল সমস্যা সমাধান করার জন্য নিয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংস্কৃত ও পালি শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিগত জীবন ও কর্মজীবনে উন্নতি ও পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে। সরকার দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার দাওরায়ে হাদীসকে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাস্টার্সের সমান মর্যাদা দিয়েছেন। এতে করে মাদ্রসার শিক্ষার্থীরাও তাদের কর্মজীবনে আগের থেকে আরও বেশি সফল হতে পারবেন। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ গুলোর মাধ্যমে পালি ও সংস্কৃত শিক্ষার্থীদের ও জীবনমানে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পালি ও সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ও অধ্যক্ষদেরও ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। পালি ও সংস্কৃত শিক্ষার উন্নতির ফলে প্রতিবেশী দেশ থেকেও অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যা আহরণের জন্য আমাদের দেশে আসবে। সবদিক বিবেচনায় সরকার দেশের চলমান প্রতিটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার মাধ্যমে একটি আদর্শ ও শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে যাচ্ছে এবং এই উন্নয়নের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।    ­­

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!