এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

পুনরায় নৌকায় উঠতে চাচ্ছেন ড.কামাল


প্রকাশের সময় :২৪ আগস্ট, ২০১৮ ২:০০ : অপরাহ্ণ 701 Views

বান্দরবান অফিসঃ-সংবিধান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান সংবিধানপ্রণেতা ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে আসলেই কি তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চান ? অঙ্কুরেই বিনষ্টের পথে যুক্তফ্রন্ট নামের তৃতীয় রাজনৈতিক ধারার উদ্যোগ। কাগজে ও মঞ্চে দৃশ্যত এক হলেও মনস্তাত্ত্বিক ও আদর্শিক দ্বন্দ্ব চলছে দুই উদ্যোক্তা ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের মধ্যে। ফ্রন্টের প্রধান ব্যক্তি নির্বাচনের সময় থেকেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামালকে ফ্রন্টের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তার অনুসারীরা। অপর অংশ সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে। শেষ পর্যন্ত বি. চৌধুরীকে সভাপতি ও মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সদস্যসচিব করে কমিটি গঠন করা হয়। ফলে শুরুতে সম্পৃক্ত থাকলেও ফ্রন্টের তালিকায় নাম লেখাননি ড. কামাল। এ প্রসঙ্গে আবদুল মালেক রতন বলেন, বি. চৌধুরী ছিলেন দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তাকে ফ্রন্টের প্রধান করাটা সঠিক সিদ্ধান্ত। কামাল সাহেব প্রথমে একসঙ্গে কাজ করতে চাইলেও পরে তিনি সরে যান। কয়েক দফায় বৈঠক এবং শর্ত সাপেক্ষে বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে যুগপৎ কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ড. কামাল। তার শর্ত ছিল- এই তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগের ১৪ দল বা মহাজোট, বিএনপির ২০-দলীয় জোট অথবা নবগঠিত অন্য কোনো জোটের সঙ্গে একাকার হবে না। মৌখিকভাবে এ শর্ত মেনে নেন বি. চৌধুরীরা। ড. কামালও ফ্রন্টের সঙ্গে এক কাতারে কাজ করতে লিখিত দেন। গত কয়েকটি এবং বিরাজমান রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে ফের দুই শীর্ষ নেতার সমর্থকদের মধ্যে হিসেবের গড়মিল হচ্ছে। বি. চৌধুরী, আ স ম রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যে বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন কামাল অনুসারীদের মতে এটা ২০-দলীয় জোটের দিকে হেলে যাওয়ার নামান্তর। ড. কামাল এতে রাজি নন। তিনি প্রথমে অদৃশ্যভাবে হলেও কোনো জোটে যেতে আগ্রহী নন। যদি যেতেই হয়, সেটা হবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে। যুক্তফ্রন্ট নিয়ে আশায় বুক বাঁধে তৃতীয় শক্তির স্বপ্নসারথীরা। কিন্তু এরপর শুধুই ভাঙন আর বিভেদের ইতিহাস। সদা পরিবর্তনশীল ড. কামালের মনেও এসেছে নানা পরিবর্তন। গত কয়েকমাস ধরেই ড. কামাল বলে আসছেন তিনি ও তার গণফোরাম যুক্তফ্রন্টে নেই। যুক্তফ্রন্ট-এ বি. চৌধুরীর নেতৃত্ব মানবেন না বলে জানিয়েছেন ড. কামাল। শুক্রবার বিকালে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল বলেন,  প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অনেক ব্যস্ত, রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে কাজের চাপ থাকে উনার অনেক। তারপরও যদি ১০ মিনিট সময় দেন, তবে আপনার সঙ্গে দেখা করে কিছু কথা বলবো। বি. চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে ড. কামালকে যুক্তফ্রন্টে না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই কামাল ভিন্ন চিন্তা করতেছেন। ড. কামালের বিভিন্ন বক্তব্যে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে । তাহলে কি কামাল প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে পুনরায় আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চাচ্ছেন ?

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!