এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

মাদকের উৎস মুখ বন্ধ করতে হবেঃ-(ইকবাল বাহার পি.পি.এম)


প্রকাশের সময় :৩ জুন, ২০১৮ ২:৩২ : পূর্বাহ্ণ 766 Views

সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-মাদকের উৎস বন্ধ না করলে মাদকবিরোধী চলমান অভিযানে সফলতা আসবে না বলে মানবাধিকারকর্মীরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তার প্রতিধ্বনি শোনা গেল চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহারের মুখে।

তিনি বলেছেন, ‘এখন যেখান থেকে উৎস,সেই উৎস মুখ যদি বন্ধ না হয়, তাহলে মাদক নির্মূল করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার।’

গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয়ে জব্দ করা মাদক ধংসের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন ইকবাল বাহার।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরুর পর দুই সপ্তাহে শতাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, অভিযান চালানোর সময় গোলাগুলিতে কিংবা মাদক বিক্রেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তাদের মৃত্যু ঘটেছে।

তবে মানবাধিকারকর্মীরা এই মৃত্যুগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন, মাদকের উৎস বন্ধ না করে এভাবে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়ে অভিযানের সফলতা আসবে না।

অভিযানে পূর্ণ সফলতার জন্য উৎস মুখ বন্ধের উপর জোর দিয়ে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘কারণ ১০টি জায়গা দিয়ে হয়ত এই মাদকটি আসে। এটি ১০ হাজার বা ৫০ হাজার জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। ৫০ হাজার জায়গায় ৫০ হাজার মানুষকে আইনের আওতায় আনা অত্যন্ত দুরূহ।’

‘এ কারণে আমরা উৎস মুখটাকে যদি বন্ধ করতে পারি, তাহলে কিন্তু মাদককে নির্মূল করা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।’

বাংলাদেশে বর্তমানে মাদকের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেটের কথাই সবার আগে আসে। এই ইয়াবা আসে মূলত মিয়ানমার থেকে।

ইয়াবা পাচার বন্ধে মিয়ানমার সরকারের সহায়তা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

সিএমপি কমিশনার মাদক নির্মূলে সমাজের সব স্তরের মানুষের একযোগে কাজ করার উপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘সবাই যদি একাট্টা হয়ে চেষ্টা করি, তাহলে এ জাতিকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব।’

চলমান অভিযান সফল করতে সিএমপির পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন ইকবাল বাহার।

তিনি জানান, কয়েকটি ধাপে তারা কাজ করছেন। মানুষকে সচেতন করে পাড়া-মহল্লায় মাদক বিরোধী কমিটি করা। স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মাদক সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করছেন তারা।

চট্টগ্রাম নগরীতে ‘১৪৫টি মাদকের স্পটের’ অধিকাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এগুলো যেন পুনরায় কেউ ব্যবহার করতে না পারে এবং আড্ডা হিসেবে ব্যবহৃত হতে না পারে সেজন্য পুলিশ সর্বোত্তম ভাবে চেষ্টা করবে।’

মাদকের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অনেকের জড়িয়ে পড়ার যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে ইকবাল বাহার বলেন, ‘গত বছর আমার আটজন সদস্যকে আমি চাকরিচ্যুত করেছি, জেলে দিয়েছি। আমি মনে করি, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।’

‘সে কারণে আমার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যরও যদি সংশ্লিষ্টতা থাকে, তাহলে তাকেও কিন্তু আইনে সোপর্দ করা হবে। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

অনুষ্ঠানে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ইয়াবা এবং নয় কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা ধংস করা হয়।

এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এটি আমাদের রুটিন কাজ। পুলিশ যে সমস্ত মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে আদালতের নির্দেশক্রমে সামান্য কিছু আলামত রেখে এটি ধ্বংস করা হয়।’

এরকম আরও ১৫ লাখ ইয়াবা সিএমপির মালখানায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আদালতের আদেশ প্রক্রিয়াধীন আছে। আদেশ পেলে এভাবে ধ্বংস করা হবে।’

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!