শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

ভয়াল ৩১ মে..!!!


প্রকাশের সময় :৩১ মে, ২০১৮ ৯:৫৭ : অপরাহ্ণ 858 Views

মোঃরফিকুল ইসলাম, বান্দরবানঃ-ঐতিহাসিক ভূষণছড়া গণহত্যা দিবস। পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন শান্তিবাহিনী অথবা জেএসএস দ্বারা যতগুলো বাংগালি গণহত্যা সংগঠিত হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ ও ভয়াবহ গণহত্যা হচ্ছে ভূষণছড়া গণহত্যা।

দিনটি ১৯৮৪ সালের ৩১ই মে। ৩০ ই মে দিবাগত রাত ৪ টা ও ৩১ ই মে সকাল ৮ টা। এদিন পার্বত্য রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় উপজাতি জঙ্গিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে সহজসরল নিরস্ত্র অসহায় ঘুমন্ত পার্বত্য বাংগালিদের ওপর।উপজাতি হায়েনারা সেদিন রাতের আধাঁরে ভূষণছড়া ও তার অশেপাশের প্রত্যেকটি বাংগালি গ্রামে অগ্নি সংযোগ,লুটতরাজ ও বাংগালি গণহত্যায় মেতে ওঠে।অসহায় বাংগালি নারী ও শিশুদেরদের গণধর্ষণের পর হত্যা সেদিন এক নরকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে।মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ১৪৫০ জনের অধিক বাংগালি নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতাকে হত্যা করেছিল উপজাতি জঙ্গিরা। বেনেট দিয়ে খুচিয়ে, হাত পা বেধে পিটিয়ে, দা দিয়ে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন আহত হয়েছিলো আরও সহস্রাধিক নিরস্ত্র অসহায় বাংগালি। অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো কয়েক হাজার বাংগালি। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো সেদিন একটি জনপদ। বরকলের ১৬০০ বাংগালি পরিবারের মধ্যে ৮০০ টিরও বেশি পরিবার সেই সময় আক্রান্ত হয়েছিলো উপজাতি জঙ্গিদের দ্বারা। যাদের মধ্যে ৫৩০টি পরিবার সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যা মনে হলে আজও হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন বেচে যাওয়া পরিবার পরিজন হারা অসহায় বাংগালিরা।

কি অপরাধ ছিল সেদিন এই নিরস্ত্র অসহায় বাংগালিদের ? অপরাধ একটাই ছিল তারা বাংগালি ও বাংলাদেশের নাগরিক। পাহাড়ে বাংগালি বেচে থাকলে পাহাড়ে বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে তাই স্বাধীন জুম্মাল্যন্ডের জন্য যুদ্ধরত উপজাতি জঙ্গি সংগঠন শান্তিবাহিনীর প্রধান টার্গেটই ছিল পার্বত্য বাংগালিরা।তবে আফসোস সেদিন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ত দূরের কথা নিজ দেশের মিডিয়ায়ও তেমন ঠাই করে নেয় নি স্বাধীন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংগালিদের ওপর সংঘঠিত এই সকল গণহত্যা। আজও বাংগালির দেশে পার্বত্য বাংগালিদের প্রতি চরম অবজ্ঞা পার্বত্য বাংগালিদের ধুকে ধুকে কাঁদায়। বাংগালি হয়ে আজও আমরা বাংলাদেশে অধিকারহীন এক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।

অথচ হাজার হাজার পার্বত্য বাংগালির রক্তেই আজও পাহাড়ে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। আজও পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!