শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

লেবারদের ছেলে মেয়েরা লেবারই হবে, এত শিক্ষিত হয়ে কাজ নেই !


সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ মে, ২০১৯ ৯:৪৮ : অপরাহ্ণ 649 Views

বান্দরবানের নতুনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন কান্তি দাসসহ সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, প্রধান শিক্ষক ও ডেপুটেশনে আসা সহকারী শিক্ষক রুপশ্রী দাশ শিক্ষার্থীদের মাঝে সাম্প্রদায়িক উস্কানীও দেন।

এতে এলাকার শ্রমজীবি মানুষের সন্তানদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যত হুমকির সম্মুখীন। দ্রুত বিদ্যালয়ের সকল অনিয়ম দুর্নীতি দূর করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে দাবী জানিয়েছেন ক্যচিংঘাটা নতুন পাড়াবাসী।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮সালের ৩০ এপ্রিল নতুনপাড়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লিটন কান্তি দাস প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ জনপ্রতি ১৫০টাকা, পুরাতন ভর্তি বাবদ ১০০ টাকা ও অন্যান্য ব্যয়ের নামে নতুন পুরাতন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আরো ১০০টাকা হারে বাধ্যতামূলক আদায় করেছেন।

এর আগে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে স্কুলের ফ্যান ক্রয়ের নামে উপ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০টাকা হারে আদায় করা হয়। এছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে পঞ্চম শ্রেণী থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০টাকা হারে আদায় করে চলেছেন।

এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রাপ্ত স্লিপের বরাদ্দের টাকায় কোন কাজ করেননি। এখন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী হোসেনকে উৎকোচ দিয়ে হিসাব সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন প্রধান শিক্ষক লিটক কান্তি দাস। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক লিটন কান্তি দাস প্রায়ই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। পরবর্তীতে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।

তাছাড়া একই দিবসে একই সাথে একাধিক সহকারী শিক্ষককে সাময়ীক ছুটি প্রদান করার কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়। এদিকে সহকারী শিক্ষকরা পাঠদান না করে টেবিলের ওপর মাথা রেখে ঘুমান ও প্রায় সময় মোবাইলে কথা বলায় ব্যস্ত থাকেন আর শিক্ষার্থীদের দিয়ে উকুন বাছান।

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম, দূর্নীতি সহায়তাকারী হিসেবে পরিচিত দুই সহকারী শিক্ষককে তিনি সবসময় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। এজন্য তাদের সুযোগ সুবিধাও দেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক লিটন ও ডেপুটেশনে আসা সহকারী শিক্ষক রুপশ্রী দাশ বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানী দিয়ে বলেন, মুসলমান লেবারদের ছেলে মেয়েরা লেবারই হবে। এত শিক্ষিত হয়ে কোন কাজ নেই।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন কান্তি দাশ সাংবাদিকদের বলেন, যে অভিযোগটি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ফেইক। অভিযোগের কোন তথ্য সত্য নয়। তবে তিনি স্বীকার করেন-বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সময় স্থানীয় জনগণ থেকে আর্থিক অনুদান নিয়ে কাজ করতে হয়। কাউকে জোর করে নয়। সেক্ষেত্রে অভিভাবক ও এসএমসি কমিটির পরামর্শক্রমে বিদ্যালয়ের কাজে সহায়তা নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান বলেন, নতুন পাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করেছেন। সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। এতে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!