এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

লেবারদের ছেলে মেয়েরা লেবারই হবে, এত শিক্ষিত হয়ে কাজ নেই !


সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ মে, ২০১৯ ৯:৪৮ : অপরাহ্ণ 684 Views

বান্দরবানের নতুনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন কান্তি দাসসহ সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, প্রধান শিক্ষক ও ডেপুটেশনে আসা সহকারী শিক্ষক রুপশ্রী দাশ শিক্ষার্থীদের মাঝে সাম্প্রদায়িক উস্কানীও দেন।

এতে এলাকার শ্রমজীবি মানুষের সন্তানদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যত হুমকির সম্মুখীন। দ্রুত বিদ্যালয়ের সকল অনিয়ম দুর্নীতি দূর করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে দাবী জানিয়েছেন ক্যচিংঘাটা নতুন পাড়াবাসী।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮সালের ৩০ এপ্রিল নতুনপাড়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লিটন কান্তি দাস প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ জনপ্রতি ১৫০টাকা, পুরাতন ভর্তি বাবদ ১০০ টাকা ও অন্যান্য ব্যয়ের নামে নতুন পুরাতন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আরো ১০০টাকা হারে বাধ্যতামূলক আদায় করেছেন।

এর আগে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে স্কুলের ফ্যান ক্রয়ের নামে উপ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০টাকা হারে আদায় করা হয়। এছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে পঞ্চম শ্রেণী থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০টাকা হারে আদায় করে চলেছেন।

এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রাপ্ত স্লিপের বরাদ্দের টাকায় কোন কাজ করেননি। এখন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী হোসেনকে উৎকোচ দিয়ে হিসাব সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন প্রধান শিক্ষক লিটক কান্তি দাস। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক লিটন কান্তি দাস প্রায়ই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। পরবর্তীতে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।

তাছাড়া একই দিবসে একই সাথে একাধিক সহকারী শিক্ষককে সাময়ীক ছুটি প্রদান করার কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয়। এদিকে সহকারী শিক্ষকরা পাঠদান না করে টেবিলের ওপর মাথা রেখে ঘুমান ও প্রায় সময় মোবাইলে কথা বলায় ব্যস্ত থাকেন আর শিক্ষার্থীদের দিয়ে উকুন বাছান।

এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম, দূর্নীতি সহায়তাকারী হিসেবে পরিচিত দুই সহকারী শিক্ষককে তিনি সবসময় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। এজন্য তাদের সুযোগ সুবিধাও দেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক লিটন ও ডেপুটেশনে আসা সহকারী শিক্ষক রুপশ্রী দাশ বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানী দিয়ে বলেন, মুসলমান লেবারদের ছেলে মেয়েরা লেবারই হবে। এত শিক্ষিত হয়ে কোন কাজ নেই।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন কান্তি দাশ সাংবাদিকদের বলেন, যে অভিযোগটি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ফেইক। অভিযোগের কোন তথ্য সত্য নয়। তবে তিনি স্বীকার করেন-বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সময় স্থানীয় জনগণ থেকে আর্থিক অনুদান নিয়ে কাজ করতে হয়। কাউকে জোর করে নয়। সেক্ষেত্রে অভিভাবক ও এসএমসি কমিটির পরামর্শক্রমে বিদ্যালয়ের কাজে সহায়তা নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান বলেন, নতুন পাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করেছেন। সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। এতে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!