শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

ভবন ধসের আতঙ্ক নিয়ে আমরা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি


প্রকাশের সময় :১৯ জুলাই, ২০১৭ ৬:৩১ : অপরাহ্ণ 610 Views

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ-অন্ধকারাচ্ছন্ন শ্রেণি কক্ষ। ভবনে দেওয়ালে ফাঁটল।ছাদের ভীম ভেঙ্গে বৃষ্টি পানি শ্রেণিকক্ষে।পিলারে প্লাস্টার খসে পড়ে কঙ্কালের পরিণত। দরজা-জানালার অবস্থাও নাজুক।এমনি এক পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বান্দরবান লামায় পৌর শহরে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পাঠ নিচ্ছে এলাকার ৩৩৯জন কোমলমতি শিক্ষার্থী।১৮৮১ সালে ২০ শতক জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত হয় চেয়ারম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।১৯৮৯ সালে ৪টি কক্ষ বিশিষ্ট একটি আধা-পাঁকা ভবণ নির্মাণ হয়। পৌর শহরের অধিকাংশ গরীব ছেলে-মেয়ে এ প্রতিষ্ঠানে নতুন কিছু শেখার জন্য পাড়ি জমায়।এখন বর্ষা মৌসুমও চলছে।অন্য দিকে বান্দরবান জেলা বৃষ্টি প্রবণ এলাকা।বৃষ্টি পড়লে বৃষ্টির পানি শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে, যার ফলে জরাজীর্ণ স্যাঁতস্যাঁতে পরিণত হয় আর অন্যদিকে ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পড়ালেখা করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতা সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও।এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও দিন দিন কমতে শুরু করেছে। বিদ্যালয়ের ভবন রয়েছে তিনটি।উত্তর পাশে ভবনটি পরিত্যক্তও ঝুঁকিপূর্ণ,ভবনের পূর্ব পাশের পাহাড় দেওয়ালের উপর ঠেসেই পড়েছে।প্লাস্টার খসে পড়ে কঙ্কাল হয়ে আছে।পিলারের ইটগুলোও খসে পড়েছে। দরজা-জানালা গুলো ভেঙ্গে গেছে।চেয়ার-টেবিল ও বেঞ্চে রয়েছে তীব্র সংকট,যা আছে তাও অত্যন্ত নাজুক অবস্থায়।তারপরও বিদ্যালয়টি দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর ধরে নিরলসভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে।এসব সমস্যা ও সংকটের কারণে স্কুলের পাঠদান দিন দিন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।সকল সমস্যার সমাধান নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।অবকাঠামো উন্নয়ন বা সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ আর এলজিইডি ২০০৭ সাল থেকে জায়গা মেপে নিয়ে যাচ্ছে।অনেক স্বপ্নও দেখিয়েছে কিন্তু আজো পর্যন্ত বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।এদিকে শ্রেণি কক্ষের স্বল্পতা,দীর্ঘ কয়েক বছরে ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলে সংস্কার না হওয়ায় জীর্ণদশা ভবনে রোদ-বৃষ্টির মাঝে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।বিদ্যালয়ের তানিশা,আয়শা, সানজিদা জানিয়েছে,আমাদের ক্লাস চলাকালিন সময়ে কখন যে বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদ ধসে পরবে বলতে পারছি না।এ কারণে শ্রেণি কক্ষে বসে ক্লাস করতে আমাদের ভয় লাগে।আবার বৃষ্টি পড়লে বারান্দায় দাড়িয়ে থাকতে হয় নয় তো বাড়িতে চলে যেতে হয় আমাদের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম জানান,স্কুলের ভবনসহ নান সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অনেকবার অবগত করা হলেও এখন পযূন্ত অবকাঠামোর উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহ বোধ করছে না।রোদে পুড়ে,বৃষ্টিতে ভিজে পাঠ নেওয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য শারীরিকভাবেও ক্ষতিকর।প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিদ্যালয়ে পরিদর্শনের আসলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয়ে তুলে ধরি।কিন্তু প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলে জন প্রতিনিধিদের সাথে যোগযোগ করতে আর জন প্রতিনিধি কাছে গেলেই তার উল্টো বলে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!