এই মাত্র পাওয়া :

নিজেকে নির্দোষ দাবি,প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় ছাত্রলীগ নেত্রী মুন


প্রকাশের সময় :১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ১:৪২ : পূর্বাহ্ণ 901 Views

বান্দরবান অফিসঃ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুনসহ ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।তবে মুনের দাবি,তিনি নির্দোষ।এ বহিষ্কারের মাধ্যমে তাকে অসম্মানিত করা হয়েছে।এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।বহিষ্কারের ঘোষণা আসার পরপরই গতকাল (সোমবার) রাতে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে মুন লেখেন, ‘নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তোরা আর কত রঙ তামাশা দেখাবি?’ এরপর আরেকটা পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমাকে অসম্মানিত করার দায় সংগঠনকেই নিতে হবে। আমি দোষ করলে তা প্রমাণ করতে হবে এবং আমাকে দোষ খণ্ডানোর সুযোগ দিতে হবে।আমি বিষয়টি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী,আমাদের অভিভাবক,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানাতে চাই।তিনি দেশে ফিরলেই আমাকে কি অপরাধে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো সেটার জবাব আমাকে জানতেই হবে।’ মঙ্গলবার মধ্যরাতে আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘এই অন্যায়ের বিচার হবেই। সেটা কবে তা দেখার বিষয়।১০ দিন পরে নাকি ১০ বছর পরে?সবার ওপরে একজন তো আছে দাঁড়িপাল্লা ব্যাল্যান্স করার জন্য।’ সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘এখনও আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক একজন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আমার প্রতি দায়বদ্ধ।নিজের অবস্থান থেকে বলতে পারি কবি সুফিয়া কামাল হলের অনাকাঙ্ক্ষিত ঐ ঘটনার সাথে আমার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।তদন্ত কমিটি আমার সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করেনি এবং বক্তব্যও জানতে চায়নি।আমি নিজেই জানি আমি কোন দোষ করিনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উঠে আসা এ বহিষ্কারাদেশ আমাকে মানসিকভাবে পীড়ন দিচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি পুনঃ-তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা হোসেন মুন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘আমি গত ১ বছর যাবত হলে থাকিনা।গত ১১মাস যাবত আমি কক্সবাজারে ছিলাম।কিছুদিন আগে আমি ঢাকায় ফিরি।তাহলে আমার নাম কেন এ ঘটনায় জড়ানো হলো?’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন (১০ এপ্রিল) রাতে আমি সোহাগ ভাই (ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি) ও এনায়েত ভাইকে (কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি) ফোন করে বলেছিলাম আমার জন্য একটা গাড়ি পাঠান, আমি হলে (সুফিয়া কামাল) যাব। তবে তারা কোন গাড়ি আমার জন্য পাঠায়নি। এছাড়া তদন্ত কমিটি আমার সাথে কোনরূপ যোগাযোগ না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো আমার বিরুদ্ধে মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছে।’ তদন্ত পুনরায় করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় তদন্তটা পুনরায় করার দাবি জানাচ্ছি।যেহেতু বলা হচ্ছে, আমি হলের বাইরে থেকে এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছি তাই প্রয়োজনে আমার ফোন রেকর্ড চেক করা হোক।যদি আমার বিরুদ্ধে ইন্ধন দেয়ার কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয় আর আমি যদি অপরাধী হই তবে আমাকে যে শাস্তি দেয়া হবে আমি তা মেনে নিবো।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় ছাত্রলীগের করা চার সদস্যের তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য আবিদ আল হাসান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘যারা হলে থাকে আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি।সে অনুযায়ী প্রমাণ পেয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
২৪ জনের মধ্যে ৮ জন ছাত্রলীগের পদধারী নেতা। বাকি ১৬ জন হল শাখা ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশ নেয়া সাধারণ শিক্ষার্থী।তাদেরকে কিভাবে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এরা সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খালেদা হোসেন মুনের অনুসারী ছিলো। বিভিন্ন সময়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনায় উসকানি দেয়ার অভিযোগ আছে। তারা যাতে পরবর্তীতে ছাত্রলীগের পদে না আসতে পারে সে জন্য তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ খালেদা হোসেন মুন সেদিন হলে ছিলেন না, তার সাথে আপনারা যোগাযোগও করেন নি।তাহলে কিভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিলো তবে তার ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।’ এ বিষয়ে জানার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তারা কল রিসিভ করেন নি।উৎসঃ-(বাংলাদেশ জার্নাল)

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর