

বান্দরবানের আলীকদমে মেরাইতং জাদীপাহাড়ে নির্মাণাধীন বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।বুধবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় মেরাইতং জাদীপাহাড়ে এ বুদ্ধমূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মারাইংতং জাদীর ভূমি নিয়ে জাদী কর্তৃপক্ষ ও চংপাত ম্রো হেডম্যান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল।গতকালও উভয় পক্ষের লোকজন জাদীতে উপস্থিত হয়ে এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।আলোচনা শেষে তারা চলে যাওয়ার পর জাদির অন্য সেবকরা নির্মাণাধীন বুদ্ধমূর্তিটির হাত-পা সহ বেশ কিছু অংশ ভাঙা দেখতে পেয়ে কমিটির সভাপতি উ উইচারা মহাথেরোকে জানায়। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়। মারাইংতং বৌদ্ধ জাদী পরিচালনা কমিটির সভাপতি উ উইচারা মহাথেরো এই ঘটনায় লামা উপজেলার সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রোর নেতৃত্বে এই ভাঙচুর করেছেন মর্মে দাবি করেন।
অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রো বলেন,তিনি নিজেও একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং কেন মূর্তি ভাঙবেন তা বোধগম্য নয়।তিনি আরো বলেন,গতকাল জেলাপরিষদ সদস্য খামলাই ম্রোসহ অন্যান্যদের নিয়ে এলাকার ভুমি সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য সরেজমিনে মেরাইতং জাদি এলাকায় গিয়েছিলেন। বিকেলে সেখান থেকে ফিরে গজালিয়া হেডম্যানের বাড়ীতে বসে আলাপ করার সময় শুনতে পেয়েছেন কে বা কারা মেরাইতং জাদি এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বুদ্ধ মুর্তি ভাঙচুর করেছে। তিনি এই ঘটনাকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন।বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল করিম জানান,বৌদ্ধমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়েছে।তবে এই ঘটনায় সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।