এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

লামায় ২৫ জনের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুই মামলা


ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশের সময় :২০ জুন, ২০১৯ ৪:১৩ : অপরাহ্ণ 711 Views

বান্দরবানের লামায় নির্বিচারে পাথর উত্তোলন ও পাচারের সাথে জড়িত ২৫ জন পাথর ব্যবসায়ীকে বিবাদী করে পৃথক দুইটি মামলা করেছে পরিবেশ অধিপ্তর বান্দরবান। মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত- ২০১০) এর ধারা ৪(২), ৬(খ), (ঙ) এবং ১২ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, বুধবার (১৯ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান এর পরিদর্শক নাজনীন সুলতানা নীপা বাদী হয়ে মামলা দুইটি রুজু করেন। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর অংশের জন্য করা মামলায় ৯ জনকে ও ইয়াংছা অংশের জন্য করা মামলায় ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এছাড়া দুই মামলায় ১২ জনকে অজ্ঞাতনামায় রাখা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা দুইটি বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। লামা থানা মামলা নং ১০/৫৪ এবং ১১/৫৫, তারিখ ১৯ জুন ২০১৯ইং।

বনপুর অংশের জন্য করা মামলা ১০/৫৪ সূত্রে জানা যায়, এই মামলায় ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। ইয়াংছা অংশের জন্য করা মামলা ১১/৫৫ সূত্রে জানা যায়, এই মামলায় ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে স্থানীয় অনেকে বলেন, মামলা হতে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীদের নাম বাদ পড়েছে। এছাড়া দুই মামলায় উল্লেখ ইয়াংছা ও বনপুর অংশে ৫ লক্ষ ঘনফুট মজুদ পাথর ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছে।

মামলা দুইটির বাদী নাজনীন সুলতানা নীপা বলেন, গত ১২ জুন ২০১৯ইং দিনব্যাপী লামা উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে লামা উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান যৌথ উদ্যোগে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করি। সরজমিনে প্রতীয়মান হয় যে, পুরো বছরে বনপুর ও ইয়াংছা এলাকায় হতে মোট ১৮ লক্ষ ঘনফুট পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ পাথর পাচার হয়ে গেছে। বর্তমানে উল্লেখিত দুইটি অংশে ৫ লক্ষ ঘনফুট পাথর মজুদ দেখা গেছে। বিষয়গুলো এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সিনিয়র কেমিস্ট এ.কে.এম ছামিউল আলম কুরসি বলেন, মামলার কার্যক্রম চলমান থাকবে। আগামীতে আরো কেউ যদি অবৈধ পাথর উত্তোলন ও পাচারের সাথে জড়িত হয় জানা গেলে তাদের বিরুদ্ধেও পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে।

ছবির ক্যাপশনঃ ১। লামা উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান যৌথ উদ্যোগে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযান।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!