এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

লামায় চার বছরেও শেষ হয়নি জনস্বাস্থ্যের পানি শোধনাগার নির্মাণ কাজ


প্রকাশের সময় :২০ অক্টোবর, ২০১৭ ৫:৪৬ : অপরাহ্ণ 676 Views

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি-জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বান্দরবানের লামা পৌরসভায় মাতামুহুরী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে শোধনের মাধ্যমে সরবরাহের নিমিত্তে শোধনাগার নির্মাণ ও পাইপ লাইন স্থাপন কাজ গত চার বছরেও শেষ হয়নি।গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বান্দরবান ও লামা পৌরসভায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি গ্রহণ করে।জানা যায়,৬ কোটি টাকার প্রাক্কলনে গৃহীত প্রকল্পটি রিভাইজ করে ৭ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না মেলায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।ইতোমধ্যে প্রকল্পের লামা পৌরসভার অংশের প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ করার পরও লামা পৌরসভার জনসাধারণ শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহের সুফল পাচ্ছে না।গৃহীত প্রকল্পের আওতায় লামা পৌরসভায় প্রতি ঘন্টায় ১০০ ঘনমিটার ক্ষমতা সম্পন্ন পানি শোধনাগার নির্মাণ ও ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে পাইপ লাইন স্থাপন কাজের কার্যাদেশ প্রদান করে।বান্দরবানের বালাঘাটার মেসার্স রতন সেন তংঞ্চগ্যা নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৫টি প্যাকেজেরই কার্যাদেশ দেওয়া হয়।পাইপ লাইন স্থাপনের ৪টি প্যাকেজের মধ্যে ৮৮ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজের কাজ শেষ হয়েছে মর্মে জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।বরাদ্দ না থাকায় ৪২ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকার কার্যাদেশ দেওয়া অপর প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি শোধনাগার নিমার্ণ কাজের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয় ২ কোটি ৪১ লক্ষ ৯১ হাজার টাকার।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রতন সেন তংঞ্চগ্যার পক্ষে ফরিদ নিজাম উদ্দিন জানান,পানি শোধনাগার প্রকল্পের মেকানিক্যাল,মিশিনারিজ ও ইলেকট্রিকেল কোন কাজ করা হয়নি।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো:মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, শোধনাগারের নির্মাণ কাজ শেষ করতে গিয়ে সিডিউলের বাহিরে বাস্তবতার নিরিখে অনেক কাজ করতে হবে।যার কারণে অতিরিক্ত ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা প্রকল্প ব্যয় বেড়ে গেছে।ঠিকাদার বিল না পাওয়ায় শোধনাগার হস্তান্তর ও পাইপ লাইন স্থাপন কাজ শেষ করছে না।লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম সাংবাদিককে জানান, মাতামুহুরি নদী থেকে পানি উত্তোলন করে শোধন করে সরবরাহ করার জন্য এই প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। বর্তমানে পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আরো টাকার প্রয়োজন রয়েছে।জনস্বাস্থ্য বিভাগের বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন,প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিমার্ণ খরচ বেড়ে গেছে।রিভাইজ প্রাক্কলন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।আশা করছি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই অর্থ মন্ত্রণালয় বর্ধিত অর্থ ছাড় করবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!