

বান্দরবানের লামা উপজেলার আলোচিত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিসে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের অভিযানে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ১৭হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, এছাড়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ১টি বড় হাতুড়ি (হ্যামার),১টি চাপাতি,১টি ছুড়ি ও ১টি বোল্ট কাটার (তালা কাটার যন্ত্র) জব্দ করেছে পুলিশ।বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট) আব্দুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,গত ৯ মে রাতে বান্দরবানের লামা পৌরসভার লাইনঝিরি আবুল খায়ের টোব্যাকোর অফিস কক্ষ হতে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন সশস্ত্র ডাকাত এক কোটি বাহাত্তর লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ছয়শত আটত্রিশ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।এরপরেই আবুল খায়ের টোব্যাকোর অফিস কর্তৃপক্ষ লামা থানায় একটি মামলা দায়ের করার পরপরই বান্দরবানের পুলিশ সুপার এর নির্দেশে বান্দরবান জেলা পুলিশের একাধিক টিম দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে লামা থানা পুলিশ ও বান্দরবান জেলা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করে এই পর্যন্ত ৮জন আসামীকে গ্রেফতার করে এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য মতে আভিযানিক টিমসমূহ অভিযান পরিচালনা করে লুন্ঠিত টাকার মধ্যে একুশ লক্ষ সতের হাজার দুইশত টাকা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং এর মধ্যে ১জন আসামী আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান,১৭ মে রাতে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে করিমের স্ত্রীকে আটক করা হলে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুইটি স্থানে অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে এবং আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ও তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওয়াসের আলীর পাহাড়ি জমি থেকে বিভিন্ন পরিমান লুন্ঠিত টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির ব্যবস্থাপক আবদুর রব বলেন,তামাক আহরণ মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে।কার্যালয় থেকে চাষিদের তামাকের মূল্য পরিশোধ ও শ্রমিকদের দৈনিক বেতন দেওয়া হয়, বহু বছর ধরে এভাবে কাজ করা হলেও এবারই প্রথম এই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট) আব্দুল করিম জানান,ঘটনার পরপরই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে এবং ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত সকল টাকা উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছে।