এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

রোয়াংছড়ি উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ


প্রকাশের সময় :৭ জুলাই, ২০১৭ ৯:১৮ : অপরাহ্ণ 1061 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবানে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বেইলি ব্রিজ বালু বোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।আজ শুক্রবার সকালে রোয়াংছড়ি সড়কের খানসামা পাড়া বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তরের সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বালু বোঝাই একটি ভারি ট্রাক ব্রিজটির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় সেটি ভেঙে পড়ে। ব্রিজটি কদিন আগে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এটির পাশ থেকে মাটি ডেবে গেলে সকালে সেটি পাতাটনসহ ভেঙে পড়ে।এখন সড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।এর আগে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে একই সড়কে হদা বাবুর ঘোনা এলাকায় একটি বেইলি ব্রিজ পানিতে ডুবে যাওয়ায় দুদিন ধরে যানচলাচল বন্ধ ছিল। পানি নেমে যাওয়ায় বুধবার থেকে যানচলাচল শুরু হলেও সকালে নতুন করে ব্রিজ ভেঙে পড়ায় সড়কটি বন্ধ হয়ে গেছে।এদিকে বান্দরবানের নিচু এলাকা থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে শুরু করেছে।গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় সাংঙ্গু,মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানিও কমছে।বান্দরবানের সাথে রাঙ্গামাটি ও থানছি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ চালু হলেও পাহাড় ধসের কারণে রুমা উপজেলায় এখনো সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।লামা উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।পাহড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।জেলার লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় নিচু এলাকা থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে গেলেও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে এখনো বেশ কিছু পরিবার রয়ে গেছে।তারা এখনো বসত বাড়িতে ফিরতে পারেনি।কাঁদা-পানিতে সয়লাভ হয়ে থাকা এলাকাগুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।লামা বাজারে পৌরসভার পক্ষ হতে পেলুডার দিয়ে কাদা মাটি সরিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে এখনো ২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অবস্থান করছে।লামা পৌর মেয়র জাহিরুল ইসলাম জানান,কাঁদা-পানিতে সয়লাভ হয়ে থাকা বাজার এলাকা সবচেয়ে আগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে লামা বাজারের ব্যবসায়ীরা এবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।এদিকে প্রশাসনের পক্ষ হতে ৭টি উপজেলায় ইতিমধ্যে ৩৫ মে.টন খাদ্য শস্য সহায়তা দেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন।উল্লেখ্য প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এবার বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।পাহাড় ধসে নাইক্ষ্যংছড়িতে এক নারী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।সব মিলিয়ে পাহাড় ধসে এ পর্যন্ত বান্দরবানে নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ জনে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!