দুর্নীতির দায়ে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিয়মিত খোঁজ-খবর না নেয়ায় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারেক রহমান।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার বলছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগে বিএনপির রাজনীতিতে অস্বস্তি ও চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। মূলত, আগামী জাতীয় কাউন্সিলের পূর্বে তারেক রহমানের এমন অস্বস্তি অনেক সিনিয়র নেতার জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে বলেও বিএনপির রাজনীতিতে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বিষটি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে দলের দু’একজন নেতা সরব হলেও বেশিরভাগ নেতাই যে যার মতো করে মন্তব্য করছেন। ফলে বিরোধী দল বিএনপির অপরিপক্বতা ও বিভক্তির বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করে সুবিধা আদায় করতে সফল হয়েছে। দলীয় কোন্দলে বেগম জিয়ার করুণ পরিণতিতে চরমভাবে আহত হয়েছেন তারেক রহমান। তাই যারা বেগম জিয়ার বন্দিদশা ও চিকিৎসা নিয়ে রাজনৈতিক অপরিপক্বতা প্রকাশ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আগামীতে ব্যবস্থা নেয়ারও আভাস দিয়েছেন তারেক।
তিনি আরো বলেন, ২২ এপ্রিলের দলীয় বৈঠকে স্কাইপে দেয়া তারেকের বক্তব্যে আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। তাই আগামী জাতীয় কাউন্সিলে পদ বাঁচাতে এবং ক্ষমতার প্রভাব বজায় রাখতে অনেকের মাঝেই ভীতি সঞ্চার হয়েছে। গুঞ্জন শুনছি, অনেকেই নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণও শুরু করে দিয়েছেন। কার কপালে কোপ পড়বে সেটি নিয়েই চিন্তিত দলের অনেক নেতা।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে দলটির আরেক সিনিয়র নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপির বেশিরভাগ নেতা বিভিন্ন ইস্যুতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই সময় এসেছে নেতৃত্ব বদলের। এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ব্যর্থদের পদে রাখলে আগামীতে দলকে আরো ভুক্তভোগী হতে হবে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে না চলতে পারলে আপনার পরিণতি ভয়াবহ হবে- এটাই চরম বাস্তবতা। তারেক যা করবেন দলের ভালোর জন্যই করবেন। সুতরাং কারো কপাল পুড়লে এতে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।