শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

৭ মার্চ: চূড়ান্ত রণ-কৌশলের নির্দেশনা দেন বঙ্গবন্ধু


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ মার্চ, ২০২১ ১১:৫১ : অপরাহ্ণ 429 Views

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতা সংগ্রামের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এসে সমবেত হয় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কয়েক বর্গ মাইল এলাকা লোকারণ্য হয়ে যায়। ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। উড়তে থাকে বাংলাদেশের পতাকা। পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। বেলা ৩টার পর মঞ্চে ওঠেন বাঙালির আশা-আকাঙক্ষার প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার জন্য সার্বিক নির্দেশনা দেন তিনি। পাকিস্তানকে পুরোপুরিভাবে অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ থেকে বাংলার সচিবালয়, কোর্ট-কাচারি, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সবকিছু অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে।… যে পর্যন্ত আমার এ দেশের মুক্তি না হবে, খাজনা, ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো।… দুই ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে যাতে মানুষ তাদের মায়নাপত্র নেবার পারে। কিন্তু পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবে না।’

কিন্তু তীব্র অসহযোগ আন্দোলনের কারণে গরিব-দুঃখী মানুষের যেনো সমস্যা না হয়; সেজন্য রিকশা, ঘোড়ার গাড়ি, লঞ্চ, রেল চালু রাখতে বলেন বঙ্গবন্ধু। এছাড়াও চাকরিজীবীদের ২৮ তারিখে গিয়ে বেতন তোলার নির্দেশনাও দেন। যার যা আছে, তাই নিয়ে, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এরপর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে অসহযোগ আন্দোলনের ঢেউ। জীবন বাজি রেখে আপামর জনতার যুদ্ধে নামার পেছনে এই ভাষণের প্রভাব অনবদ্য। এমনকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এর প্রভাব ছিল ব্যাপক। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী অনেক গবেষণা হয়েছে এই ভাষণ নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণকে একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল বলে অভিহিত করেছেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো। দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, ‘এটি আসলে স্বাধীনতার মূল দলিল।’

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত নির্দেশনার পর দেশের সব সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ব্রিটেন প্রবাসী ১০ হাজার বাঙালি লন্ডনে স্বাধীন বাংলার দাবিতে বিক্ষোভ করে। একদিকে পাকিস্তান সরকার অকার্যকর হয়ে যাওয়া, অন্যদিকে আরো বড় ত্যাগের প্রস্তুতি চলছিল তখন দেশজুড়ে। ৯ মার্চ, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঢাকা আসার ঘোষণা দেন পাকিস্তানি স্বৈরাচার ইয়াহিয়া খান। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘সাত কোটি বাঙালি আজ তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি চায়। আমরা কোনো আপোস করতে রাজি নই।’

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!