এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বান্দরবানে ১ পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা চেষ্টা

অগ্নিঝরা ২০ই মার্চ: ইতিহাসের এই দিনে


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ মার্চ, ২০১৯ ৩:৩৯ : অপরাহ্ণ 755 Views

অগ্নিঝরা মার্চ মাস। এই মাসেই উদিত হয়েছিলো বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। এই মার্চেই গাঢ় সবুজের মধ্যে রক্তিম সূর্য সম্বলিত বাংলাদেশের স্বর্ণালি মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের নতুন পতাকা উড়ানো হয়। হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি তার আত্মপরিচয়ের সন্ধান পায় একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চ মাসে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সীমাহীন দেশপ্রেম, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অসীম সাহস, দূরদর্শিতা আর দৃঢ় নেতৃত্বে এই সবুজ ভূমি একাত্তরের মার্চে এসে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ৭১ এর মার্চ মাসের প্রতিটি দিন ছিলো ঘটনাবহুল।
২০ই মার্চ। ১৯৭১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের মধ্যে চতুর্থ দফা বৈঠক হয়। ঢাকায় ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট হাউজে বঙ্গবন্ধুর ওই বৈঠক সোয়া দুই ঘণ্টা ব্যাপী হয়। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু বলেন, কাল আবার বৈঠক হবে। এদিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, স্বাধীন দেশের মুক্ত নাগরিক হিসাবে বেঁচে থাকার জন্য জনগণ যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতেই প্রস্তুত রয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
একাত্তরের ২০শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, স্বাধীন দেশের মুক্ত নাগরিক হিসাবে বেঁচে থাকার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে বাংলার মানুষ প্রস্তুত বয়েছে।
৭১ এর এই দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাক্তন নৌ-সেনাদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে তাঁরা বঙ্গবন্ধু ঘোষিত মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতা করার জন্য একটি সম্মিলিত মুক্তিবাহিনী কমান্ড গঠনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন বাঙালি সৈনিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
মুক্তি পাগল মানুষের দৃপ্ত পদচারণায় রাজধানী টালমাটাল হয়ে ওঠে। মিছিলের পর মিছিল এগিয়ে চলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে শপথ গ্রহণের শেষে একের পর এক শোভাযাত্রা বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে সমবেত হয়। বঙ্গবন্ধু সমবেত জনতার উদ্দেশে একাধিক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দৃঢ়তার সাথে বলেন, মুক্তি পাগল সাড়ে সাতকোটি বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়কে পৃথিবীর কোন শক্তিই রুখতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান মিয়া মমতাজ মোহাম্মদ খান দৌলতানা ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মওলানা মুফতি মাহমুদ পৃথক পৃথক বৈঠকে মিলিত হন।
রাতে এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু বলেন, মুক্তি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে একটি অনুপ্রেরণা দায়ী দৃষ্টান্ত।
এদিন চারুকলার শিল্পীরা স্বাধীনতা পোস্টার বুকে বেঁধে অসহযোগ আন্দোলনে রাস্তায় বের হন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, ২৩ মার্চ স্বাধীন পূর্ববাংলা দিবস হিসাবে পালনের আহ্বান জানান।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!