শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: শৃঙ্খলা ফিরবে সাংবাদিকতায়


প্রকাশের সময় :২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ৩:২৭ : অপরাহ্ণ 703 Views

বান্দরবান অফিসঃ-সংসদে পাশ হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এর মাধ্যমে দেশের গণমাধ্যম কর্মীগণ আগের থেকে আরও বেশি নিরাপত্তার সাথে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবে। শুধু তাই নয় বিচার ব্যবস্থাও আগের থেকে আরও বেশি ত্বরান্বিত হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন প্রথম করা হয় ২০০৬ সালে। পরে ২০১৩ সালে শাস্তি বাড়িয়ে আইনটিকে আরও কঠোর করা হয়।

আইনের ৩২ ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট প্রয়োগ করে সরকারি কোনো কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক্সের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যকে ‘তথ্য পাচারের’ অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অপরাধ সংঘটন ও সংঘটনে সহায়তার দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয় বার করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ডিজিটাল বিলের ৮নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের মহা পরিচালকের নিজ অধিক্ষেত্রভুক্ত কোনো বিষয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি সৃষ্টি করলে তিনি উক্ত তথ্য-উপাত্ত অপসারণ, ক্ষেত্রমত ব্লক করার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবেন।’

ধারা ২১ এ উল্লেখ আছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা চালান বা তাতে মদদ দেন, তাহলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা তিন কোটি টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

২৫ নং ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত বা জ্ঞাতসারে এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলে জানা থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্ত বা হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করার বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর বা অপপ্রচার বা মিথ্যা বলে জানা থাকা সত্ত্বেও কোনো তথ্য সম্পূর্ণ বা আংশিক বিকৃত আকারে প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে তিনি তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক তিন লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ দ্বিতীয় বার বা বারবার সংঘটিত করেন, তাহলে ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

২৮ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে বা কোনো ওয়েবসাইটে উস্কানিমূলক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করে যা ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধে আঘাত করে। এই প্রেক্ষিতে ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ দ্বিতীয় বার বা বারবার করেন, তাহলে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৩১ নং ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যা বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটানোর উপক্রম হয়, তাহলে তিনি ৭ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে একই অপরাধ দ্বিতীয় বার বা বারবার করেন, তাহলে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৩২ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি (অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট ১৯২৩-এর আওতাভুক্ত) কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে তিনি ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি একই অপরাধ দ্বিতীয় বার বা বারবার করেন, তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

আইনের ৫৬ ধারা অনুযায়ী, জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা কাউন্সিলের মহা পরিচালক প্রয়োজনবোধে এই আইনের বলে তার ওপর অর্পিত যেকোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিতভাবে এজেন্সির কোনো কর্মচারী এবং অন্য কোনো ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসারকে অর্পণ করতে পারবেন। এই আইনের অধীনে কৃত সব কাজকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে।

ডিজিটাল আইন প্রণয়নের ফলে দেশে প্রকৃত অনলাইনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের অগ্রযাত্রা হবে।সংবাদ কর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারণায় আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই ডিজিটাল আইন বিল। কয়েক মাস আগে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে একদল অসাধু চক্র অনেক ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে জনগণের মনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছে। এই আইনের মাধ্যমে গুজব রটানোকারীকে শনাক্তকরণের মাধ্যমে সহজেই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

 

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!