শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

কমে আসছে বাংলা চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২:৩৯ : অপরাহ্ণ 862 Views

বাংলা চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা নতুন কিছু নয়। বহুবছর আগে থেকেই দেশীয় চলচ্চিত্রে অশ্লীল কর্মকাণ্ড হয়ে আসছে। বিশেষ করে একটা সময় দেশীয় চলচ্চিত্রে ব্যাপক হারে অশ্লীলতা ছেয়ে গিয়েছিল। ১৯৫৪ সালে ‘মুখ ও মুখোশ’ দিয়ে ছবি নির্মাণ শুরু হয় বাংলাদেশে৷ ১৯৫৬ সালে এটি মুক্তি পায়৷ ১৯৫৬ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত আমাদের চলচ্চিত্র হিন্দি ও উর্দু ছবির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতো৷ তখন এহতেশাম, জহির রায়হান, ফতেহ লোহানী, শুভাষ দত্তরা সিনেমা নির্মাণ করতেন৷ হিন্দি ও উর্দু সিনেমার সাথে প্রতিযোগিতার কারণে তারা ছবির মানের দিকে খেয়াল রাখতেন। তাদের ছবি দর্শক গ্রহণও করেছিল। হিন্দি/উর্দু ছবির সাথে ফাইট করেও অনেক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছিলেন তখনকার পরিচালকেরা। স্বাধীনতার পর তখনকার শিল্পীদের দাবির মুখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হিন্দি ও উর্দু ছবির আমদানি বন্ধ করে দেন৷ এরপর ৭০-এর দশক জুড়ে মৌলিক ছবির বাজার ছিল গর্ব করার মতো৷
১৯৯৭ সালের দিকে দেশীয় চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা প্রভাব বিস্তার করে৷ চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার হার এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) প্রায় পুরোটাই ধ্বসের মুখে পড়ে। সেই সময়কার বিএনপি জামায়াত সরকার চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি বললেই চলে। ধরা যায়, এফডিসিকে পুরোটাই ছেড়ে দিয়েছিলো নিজ হস্তে চলার জন্য। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত বাংলা চলচ্চিত্রের অশ্লীলতার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়৷ বলা হয়ে থাকে সেই সময়টা হলো বাংলা চলচ্চিত্রের অন্ধকার যুগ। তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের কঠোর অভিযান এর পর অশ্লীলতা দূর হলেও সিনেমার সুদিন ফেরেনি। নকল ও মানহীন গল্পের সিনেমা নির্মাণ হয়েছে একের পর এক। ইন্টারনেটের কল্যাণে সিনেমার গল্প নকল করার জন্য তখন আর ভারতে যাওয়া লাগতো না। ঘরে বসেই ল্যাপটপে হুবহু সিন টু সিন কপি করে তৈরি শুরু হলো স্ক্রিপ্ট। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না।
এরপর ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দমিয়ে দেয়া হয় বাংলা চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা। এরপর এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রে অশ্লীল কর্মকাণ্ড হয়না বললেই চলে। তবে মাঝে আবারো অশ্লীল কর্মকাণ্ড মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সরকারের হস্তক্ষেপে আর সফলতা পায়নি চলচ্চিত্রের পরিচালকরা। এদিকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে যাবতীয় অশ্লীল কর্মকাণ্ড রোধে আরও বেশি কঠোর হতে শুরু করে। অশ্লীল কর্মকাণ্ড রোধে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে বিটিআরসি। ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার অশ্লীল কর্মকাণ্ডে সম্বলিত সাইট। আর সরকারের এই কঠোর তদারকির কারণে খুব দ্রুতই বাংলা চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার হার কমে যাবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!