শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

সীমান্তে উত্তেজনাঃ জিরো পয়েন্ট পরিদর্শন করলেন বান্দরবান এর জেলা প্রশাসক


নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মো.আমিনুল ইসলাম। প্রকাশের সময় :১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২:০৯ : অপরাহ্ণ 464 Views

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি চলমান থাকায় বান্দরবানের নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।এসময় তিনি জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার মো.তারিকুল ইসলাম,পিপিএম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস,ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।তবে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক বলেন,সরকার ঘুমধুমবাসীর নিরাপত্তা কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।আমরা সব পর্যায়ে কথা বলছি।পরীক্ষা কেন্দ্র রাতের মধ্যে পরিবর্তন করাটাও ছিলো এই এলাকার মানুষ এবং সর্বোপরি আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি অংশ।এরই মধ্যে প্রশাসন এর বরাত দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার ৩০০ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে এমন গুঞ্জন শোনা ছড়িয়ে পরে।এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন,আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।সীমান্তের একান্তই নিকটবর্তী এলাকায় ঝুঁকি তে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।আপাতত আমরা তাদের কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে তা দেখার জন্য এখানে এসেছি।তাদের কে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার অংশ হিসেবে সবকিছু যাচাই বাছাই করছি।খুব শীঘ্রই আপনারা জানতে পারবেন।

এদিকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার মো.তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন,ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।এই এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি তে একজন পুলিশ পরিদর্শক এর নেতৃত্বে চল্লিশ সদস্যের একটি পুলিশ টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে।ইতিপুর্বে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে পুলিশ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা যাচ্ছে।যাতে যেকোনও সমস্যায় পুলিশ দ্রুত তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

উল্লেখ্য,গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা ২টি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু’র উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘুমধুম এলাকায় দুটি গোলা পড়ে এবং ৯ সেপ্টেম্বর একে ৪৭ এর গুলি এসে পড়ে।তবে গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাইন বিস্ফোরণ ও গুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপে হতাহতের ঘটনা ঘটে।এতে নো ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!