এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে বান্দরবানে সেবা মেলা ও লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ অনুষ্ঠান ঢালিউডের নতুন মুখ রাঙ্গামাটির মেয়ে ভিক্টোরিয়া চাকমাঃ প্রথম কাজেই পেলেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাত্রসমাজের হুঁশিয়ারিঃ বান্দরবান কখনো শাস্তিমূলক বদলির জেলা হতে পারেনা বান্দরবান জেলা বিএনপি এর ৭ উপজেলাসহ সব কমিটি বিলুপ্ত

সারজিস আলমকে ক্ষমা চাইতে হবে নাহয় অবাঞ্চিত করা হবেঃ বান্দরবান জেলার ছাত্রসমাজ


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ জুলাই, ২০২৫ ২:৩৩ : অপরাহ্ণ 38 Views

বান্দরবানকে ‘শাস্তির জায়গা’ বলাকে বান্দরবান সহ পার্বত্য অঞ্চলের প্রতি চরম অবমাননা,এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে।অন্যথায় এনসিপি’কে বান্দরবানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবে ছাত্র সমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সন্মেলনে এসব কথা বলেন বান্দরবানের ছাত্র নেতারা।তারা জানায়,গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ের “জুলাই পদযাত্রা” চলাকালে এনসিপি নেতা সারজিস একটি বক্তব্যে বান্দরবানকে “শাস্তি স্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা” হিসেবে উল্লেখ করেন। এই মন্তব্য চরম নিন্দনীয়,অবমাননাকর।একজন নেতার মুখে এ ধরনের কটূক্তি একটি জেলার মর্যাদাকে হেয় করার পাশাপাশি গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও অবহেলার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।তারা আরো বলেন,বান্দরবান কোনো বিচ্ছিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল নয়-এটি জাতিগত,সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ভাবে সমৃদ্ধ এক জনপদ।এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়,আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও অধিকার সচেতন।এই জেলার মর্যাদাকে অপরাধীদের শাস্তির স্থান হিসেবে উল্লেখ করা মানে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে অপমান করা।

ছাত্র সমাজ,সারজিস এর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। বিষয়টির বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমরা স্থানীয় এনসিপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেন, ১৯ জুলাই বান্দরবানে অনুষ্ঠিত “জুলাই পদযাত্রা” অনুষ্ঠানে সারজিস জনসম্মুখে ক্ষমা চাইবেন।তখন আমরা কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচিতে না গিয়ে শান্ত থেকেছি। সার্জিস উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিতই ছিলেন না এবং দলের কোনো কেন্দ্রীয় নেতা এই বিষয়ে একবাক্যও বলেননি।বরং অনুষ্ঠান শেষে আমরা মঞ্চে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি স্মরণ করালে তারা কর্ণপাত না করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।সংবাদ সন্মেলনে ছাত্র নেতা আসিফ ইসলাম বলেন, সারজিস ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে এনসিপি’ র সকল কার্যক্রম ও উপস্থিতি সম্পূর্ণ ভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণ করা হলো। যেসব সরকারি কর্মকর্তা “শাস্তিস্বরূপ বদলি” হিসেবে বান্দরবানে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে ।পার্বত্য চট্টগ্রামকে “বিপজ্জনক” বা “চাঁদাবাজ,দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জায়গা” হিসেবে উপস্থাপন রোধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ এর সভাপতি আসিফ ইকবাল বলেন,বান্দরবানকে অবজ্ঞা করা মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।অবমূল্যায়ন বা অবমাননা করা হলে আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবো। কোনো দলের নেতা যদি জনপদের সম্মানহানি করেন,তাকে মেনে নেওয়া হবে না।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ এর সহ সভাপতি মাহির ইফতেখার,খালিদ বিন নজরুল,জুবায়ের ইসলাম,আসিফ ইসলামসহ অনেকে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
July 2025
MTWTFSS
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!