শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


নিজস্ব সংবাদদাতা প্রকাশের সময় :১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ৩:২৮ : অপরাহ্ণ 504 Views

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার (বিপিএম),অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.শেখ ছাদেক ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.মং টিং।এসময় আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য মো.শফিকুর রহমান,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা,সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী,প্রেসক্লাব সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনুসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।সভায় প্রধান অতিথি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন,আজকের এই দিনটি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।ব্যাথা-বেদনা-শোকের একটি দিন।দেশ ও জাতিকে মেধাশুন্য করতেই সুপরিকল্পিতভাবে পাক হানাদার বাহিনী সেদিন নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করেছিলো যাতে বাংলাদেশ একটি ব্যার্থ এবং অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত হয়।তিনি বলেন,ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না।নতুন প্রজন্ম কে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।এসময় তিনি পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের স্বীকার সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন,শহিদ বু্দ্ধিজীবীদের আত্নত্যাগ আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে হানাদার পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনী এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতেছিল।বাঙালিকে মেধা-মননশূন্য করতে তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,দার্শনিক,চিকিৎসক,সাহিত্যিক,সাংবাদিক, প্রকৌশলী,আইনজীবী ও সংস্কৃতিক্ষেত্রের অগ্রগণ্য সহস্রাধিক বরেণ্যজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।সেই দিনটি ছিল ১৪ ডিসেম্বর।বিজয়ের প্রাক্কালে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এভাবে খুন করার দিনটি বাঙালির এক বেদনাবিধুর দিন।প্রতি বছর জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সেসব সন্তানকে।আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠিত বিষয়ভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ৬ মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।এর আগে দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বুদ্ধিজীবি স্মৃতি ভাস্কর্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবী ও মহান শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি ও পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার (বিপিএম)।এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো.লুৎফুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.শেখ ছাদেক,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল কুদ্দুছ ফরাজী (পিপিএম),অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার সুইটি,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পালসহ বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।পরে বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!