এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে বান্দরবানে সেবা মেলা ও লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ অনুষ্ঠান

লামা-আজিজনগর-ফাইতংয়ে ৩ পাথর খেকোর সিন্ডিকেটে চলছে পাথর উত্তোলনের মহা উৎসব


প্রকাশের সময় :৩ এপ্রিল, ২০১৮ ১০:২৮ : অপরাহ্ণ 807 Views

বান্দরবান অফিসঃ-পাহাড়ী জনপদে পাথর উত্তোলনের অপর নাম হলো পাহাড়ের কিডনি খুলে নেয়া।পাথর খেকোরা বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে উত্তোলিত পাথর সংরক্ষণ করছে,আবার প্রশাসনের নাকের ডগা থেকে রাতের আধাঁরে বিপদ বুঝে সেসব সংরক্ষিত পাথর চোরাইপথে সরিয়ে নিচ্ছে।এদিক থেকে লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিশেষ করে ফাইতং থেকে চোরাই পথে আসা পাথর সংরক্ষণের নিরাপদ জোন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে আজিজনগর এলাকার নিকটবর্তী ইসলাম ট্রেডিং।সিএইচটি টাইমস ডটকম এর অনুসন্ধানে দেখা যায় লামা-আজিজনগরে পাথর উত্তোলক হিসেবে গড়ে উঠেছে চকরিয়ার বাসিন্দা জনৈক ভুট্টোর নেতৃত্বে ৩ জন এর একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।যাদের কাজই হলো বিভিন্ন সংস্থা কে অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলের পাথর উত্তোলন করে পাচার করে দেয়া।লামা,আজিজনগর ও ফাইতং এর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তাদের রয়েছে সংগবদ্ধ একটি শক্তিশালী চক্র।বিশেষ করে ফাইতং ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের কবর ঝিরি,ভাজা খাল,বদুর ঝিরি থেকে তারা পাথর উত্তোলন করে এবং পাথর গুলো গভীর রাতে আজিজনগর দিয়ে নিয়ে গিয়ে উত্তর হারবাং এর ইসলাম ট্রেডিংয়ে সংরক্ষণ করে।গত ২ এপ্রিল রাতেও এই সংগবদ্ধ চক্রটি সিএইচটি টাইমস ডটকম থেকে ফোন করে পাথর সংরক্ষণ করেছে কিনা জানতে চাওয়ায় বিপুল পরিমাণ পাথর স্থানীয় প্রশাসনের ভয়ে ভীত হয়ে রাতের আধাঁরে সরিয়ে ফেলেছে বলে জানা যায়।চকরিয়ার বাসিন্দা জনৈক ভুট্টোর নেতৃত্বে লামার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পাথর উত্তোলনের ৩ জন এর সিন্ডিকেটটিতে রয়েছে আরও দুই সদস্য।এই দুই অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী সদস্য হলো লামা উপজেলার স্থানীয় নাগরিক জনৈক প্রদীপ ও জনৈক আবুল কালাম।অনুসন্ধানে জানা যায়,বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ও ফাইতং এলাকায় অবৈধ পাথর উত্তোলনের এমন দৃশ্য এখন অনেকটাই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছে।দুর্গম এলাকা হওয়ায় এসব এলাকায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞের খোঁজ কেইবা রাখে!!!অথচ ভূমির গঠন,জীববৈচিত্র্য,সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রামের স্পর্শকাতর পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার জন্য এসব পাহাড়ি নদী,খাল ও ঝিরির পাথরকে ঝিরিতে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এসব পাহাড়ি জলাভূমির নীচে থাকা জীববৈচিত্র্য মূলত বাঁচে পাথরের উপর নির্ভর করে।মাছ,কাঁকড়া,সাপসহ অন্যান্য কীট পতঙ্গ পাথরের তলদেশে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের বাসস্থান তৈরি করে।পাথরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে তাদের জীবন চক্র।পাহাড়ের এসব এলাকায় মূলত নদীনালা ও ঝিরির উৎসমুখে পাথর তোলা হচ্ছে।ফলে নতুন করে শূন্যস্থান পূরণের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে।তাই এখনই কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অচিরেই মারাত্মক পরিবেশগত ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হবে। প্রাথমিকভাবে লামা-আজিজনগর-ফাইতং এর বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে পাথর উত্তোলনে নেতৃত্ব দেয়া চকরিয়ার ভুট্টো কে মোবাইল ফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে আমি ভাত খাচ্ছি বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এবিষয়ে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব বক্তব্য পাথর খেকোদের নিয়ে করা ধারাবাহিক প্রতিবেদন এর তৃতীয় পর্ব অর্থাৎ শেষ পর্বে নেয়া হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!