এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে বান্দরবানে সেবা মেলা ও লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ অনুষ্ঠান

লামায় কঠিন চীবর দানোৎসবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা


প্রকাশের সময় :৬ নভেম্বর, ২০১৮ ৬:১৪ : অপরাহ্ণ 891 Views

বান্দরবান অফিসঃ-নানা আয়োজনে লামা উপজেলায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা ছোট পাড়া বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু ক্যশৈহ্লা। এসময় তিনি বিহারের সীমাঘর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, ফাতেমা পারুল, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা, ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা, বাথোয়াইচিং মার্মা, ইউপি মেম্বার আপ্রুচিং মার্মা, মো. শহীদুজ্জামান সহ প্রমূখ।সকাল থেকে ধর্মীয় নানা আয়োজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পর উপাসনার মধ্য দিয়ে মূল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আশপাশের সকল বিহারের ধর্মীয় গুরুজন ভান্তেরা উপস্থিত হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও দায়ক-দায়িকা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর শতশত নারী-পুরুষ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।প্রতি বছর প্রবারণা পূর্ণিমার পরই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এক মাস পর্যন্ত কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। তাদের বিশ্বাস বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে এই চীবরদানের মাধ্যমে পূণ্য লাভ করা যায়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের টানা তিন মাস বর্ষাবাসের পর প্রবারণা পূর্ণিমা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মাসোব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব। এসময় দায়ক-দায়িকারা বৌদ্ধ বিহারে ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার, বুদ্ধ মূর্তি, কল্পতরু, হাজার প্রদীপসহ নানাবিধ দান করে। এছাড়া চন্দন ও ডাবের পানি দিয়ে বুদ্ধমূর্তিকে স্নান করানো হয়।এরপর ধর্মীয় গুরুজনেরা কঠিন চীবরের মাহাত্ম তুলে ধরেন এবং দায়ক-দায়িকাদের ধর্মীয় দেশনা দেন। এবার উপজেলার কয়েক‘শ বৌদ্ধ বিহারে পর্যায়ক্রমে কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!