বিশ্ব মা দিবস ও মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত


নিজস্ব সংবাদদাতা প্রকাশের সময় :৯ মে, ২০২২ ৩:৩৩ : অপরাহ্ণ 487 Views

রবিবার ‘বিশ্ব মা দিবস’।এদিনটি বিশ্বের সকল মাকে উৎসর্গ করার একটি দিন।প্রতিবছরের মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার এই দিবসটি সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়।এরই অংশ হিসেবে রবিবার (৮ মে) সকালে জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস উদযাপিত হয়েছে।মা দিবসের এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুরাইয়া আক্তার সুইটি সভাপতিত্ব করেন।অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (আরডিসি) মো.কায়েসুর রহমান,জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া চৌধুরী,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রশিক্ষণার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,বিশ্ব মা দিবসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পৃথিবীর প্রতিটি মাকে যথাযথ সম্মান,শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো।যিনি জন্ম দিয়েছেন,লালন-পালন করেছেন সেই মা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলিত।ঘরে-বাইরে সর্বক্ষেত্রে মায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মর্যাদাপূর্ন জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই দেশে দেশে মা দিবস পালন করা হয়।পৃথিবীর সকল “মা” এর প্রতি সিএইচটি টাইমস ডটকম জানাচ্ছে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।এদিকে,একই দিন বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে “মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ” শীর্ষক আলোচনা সভা।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে একইদিন সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।মনোজ্ঞ এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং পুরস্কার বিতরণ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো.লুৎফুর রহমান।এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুরাইয়া আক্তার সুইটি,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.শেখ ছাদেক,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বান্দরবান পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মামুনুর রশীদ,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল,রাজীব কুমার বিশ্বাস,আব্দুল্লাহ আল মামুন,শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির কর্মকর্তা,শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবীর বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক সংগঠক বীনা পানি চক্রবর্তী।অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত নৃত্য প্রতিযোগিতায় ৭ জন এবং শিশু একাডেমি আয়োজিত রবীন্দ্র সংগীত ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১২ জন বিজয়ী কে পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা।প্রসঙ্গত,মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা দেবীর চতুর্দশ সন্তান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম কলকাতার বিখ্যাত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে। বাংলা সাহিত্যকে তিনি দিয়ে গেছেন এক নতুন মাত্রা।তার রচিত সঙ্গীত,কবিতা ও গদ্য জড়িয়ে আছে বাঙালির সত্তায়।১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়ে সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।বাংলা সাহিত্যে এটিই একমাত্র নোবেল পুরস্কার।করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দেশব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় কবিগুরুর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী বিপুল উৎসাহ ও উদ্দিপনার সাথে উদযাপিত হচ্ছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর