বিজ্ঞান মেলায় জেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণে বান্দরবান আসছেন অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ


নিজস্ব সংবাদদাতা প্রকাশের সময় :২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:০২ : অপরাহ্ণ 616 Views

দেশব্যাপী বিজ্ঞান সচেতনতা সৃষ্টি এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনী মনোভাব সৃষ্টি ও বিকাশের অংশ হিসেবে বান্দরবানেও জেলা পর্যায়ে ৪৩তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে আয়োজিত এই মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। “বিজ্ঞান,প্রযুক্তি ও নৈতিকতাঃ একসূত্রে গাথা” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত দিনব্যাপী এই মেলা সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে গত সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল দশটায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় স্থান নির্ধারণ সহ সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজ্ঞান মেলার প্রদর্শনী,বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা,বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার, সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণসহ জমকালো একটি আয়োজনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করে জেলা প্রশাসন।প্রস্তুতি সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এসময় বিজ্ঞান মেলার আয়োজনটি যাতে একটি উৎসবমুখর, আনন্দঘন এবং প্রতিযোগিতামূলক মেলায় পরিণত হয় সেই লক্ষ্যে নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।এসময় তিনি শিশু কিশোরদের মোবাইল/ইন্টারনেট আসক্তি এবং সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্ত রাখা ও মানসিক সুস্থতা ও উৎকর্ষতায় সমৃদ্ধ জীবনের অনুপ্রেরণা লাভ করবে বলে উল্লেখ করেন।এবিষয়ে ৪৩তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী সিএইচটি টাইমস ডটকমকে বলেন,মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের এই আয়োজনকে বর্ণিল করতে বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে ব্র‍্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ কায়কোবাদ উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেন মেলা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা।উল্লেখ্য,বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্ত স্বনামধন্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ কায়কোবাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন।বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াড শুরু করার পেছনে তার উল্লেখযোগ্য অবদান আছে।বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের জন্যে সবচেয়ে বড় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এসিএম আইসিপিসিতে বুয়েটের অংশ নেয়ার ব্যাপারেও অসমান্য অবদান আছে।বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স এর সম্মানিত ফেলো হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান মনস্ক মনোভাব তৈরি করার লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।খ্যাতনামা এই অধ্যাপক ১৯৫৪ সালের ১ মে মানিকগঞ্জের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।প্রসংগত,দেশব্যাপী বিজ্ঞান সচেতনতা সৃষ্টি এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনী মনোভাব সৃষ্টি ও বিকাশের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উদ্যোগে সারাদেশে প্রতিবছর সপ্তাহব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!