

বান্দরবান অফিসঃ-বান্দরবানের বালাঘাটা পুলিশ লাইন্স এ বান্দরবান পার্বত্য জেলা পুলিশের নারী পুলিশ ব্যারাক ও ফায়ারিং রেঞ্জ এর ভিত্তি প্রস্তরস্থাপন এবং পুলিশ লাইন্স স্কুলের তৃতীয় তলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।এ উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলা পুলিশের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়ের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিন আরাফাত এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শফিউল আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলী হোসেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল আজিজ।এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন গণপূর্ত বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী সুশান্ত কুমার দে,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসলাম কোম্পানী,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ,লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো.ইসমাইল,পুলিশ লাইন্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক ললিত মোহন ভৌমিকসহ বিভিন্ন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা,প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।মতববিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন,পুলিশ জনগনের বন্ধু,পুলিশ জনতা এক হয়ে কাজ করলে দেশের অনেক উন্নয়ন সম্ভব।দেশ ও জাতির উন্নয়নে পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করছে।প্রতিটা দেশের জনগণের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম।পুলিশ দেশ ও জাতির পরম বন্ধু হিসেবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য,৪০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর অধীনে পুলিশ লাইন্স স্কুলের তৃতীয় তলার নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন হয়।এছাড়া বান্দরবান গণপুর্ত বিভাগের অধীনে নারী পুলিশ ব্যারাক ও ফায়ারিং রেঞ্জ নির্মাণ কাজ দুটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।গতকাল এর ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ করা হলেও নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গুলো আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবে ৮ জানুয়ারী।৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ গুলো শেষ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এর ঠিকাদার ও গণপুর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা।








