

গত কয়েকদিন থেকেই থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে বান্দরবানে বৃষ্টির সাথে বইছে প্রবল বাতাস।বৃষ্টিতে শহরের কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে আর শহরের পাশে বয়ে যাওয়া সাংগু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংক বিরাজ করছে নিম্মাঞ্চল,নদীর তীরবর্তী ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের মনে।
বান্দরবান সদর উপজেলার কালাঘাটা,কাসেমপাড়া, ইসলামপুর,হাফেজঘোনা,বাসস্টেশন এলাকা,স্টেডিয়াম এলাকাসহ সাত উপজেলার বিভিন্নস্থানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে তুলেছে কয়েক হাজার পরিবার।টানা বৃষ্টির কারণে এই পরিবারগুলো এখন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবন থমকে গেছে আর কাজ ছাড়া স্থানীয়রা ঘরের বাইরে যাচ্ছে না, সড়ক ও নদীপথে ও যাত্রীর পরিমান কমে গেছে অনেকটা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ঘন্টায় বান্দরবানে ১৭৩মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যা এই বছরে বান্দরবানে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় অতিবৃষ্টির কারণে ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসরত জনসাধারণকে নিরাপদে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্যোগ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের রক্ষা করতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুুত, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা,মেডিকেল টিম গঠনসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুুতি গ্রহণের পাশাপাশি বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে বলে জানায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে , বান্দরবান সদরে ৪৬টি , রুমা উপজেলায় ২৮টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১৯টি, থানচি উপজেলায় ১৫টি ,লামা উপজেলায় ৫৫টি, আলীকদম উপজেলায় ১৫টি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪২টিঅস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুুত করে রাখা হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, দুর্যোগ মেকাবেলায় বান্দরবানের ৭উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুুত, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা,মেডিকেল টিম গঠন, জরুরী বিদ্যুতের ব্যবস্থা,বিকল্প নৌকার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কর্ম সম্পাদন করা হয়েছে এবং দুর্যোগের এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমুল্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।